নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২১, ১১:৩৪ পিএম
আবারো দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনল একদল কিশোর-কিশোরী। গত ২৬ জুলাই থেকে ১ আগস্ট লাটভিয়ার রাজধানী রিগায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ইকোনমিক্স অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চার প্রতিযোগী ব্যক্তিগত ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছেন।
পদকজয়ীরা হলেন স্কলাস্টিকা স্কুলের সৈয়দ মাশরুর তেহজিব ও প্রাচুর্য দাস, মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ফারহান মাশরুর, প্লেপেন স্কুলের সামরীন সারওয়ার।
দলনেতারা হলেন আল আমিন পারভেজ এবং আক্তার আহমেদ। দ্বিতীয়বারের মতো দেশকে ৪টি ব্রোঞ্জ পদক এনে দিয়েছে এই অলিম্পিয়াড।
আন্তর্জাতিক ইকোনমিক্স অলিম্পিয়াড হলো স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের অর্থনীতি বিষয়ক সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা। আন্তর্জাতিক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন ২০০৭ এর নোবেল বিজয়ী এরিক মাসকিন। তিনি বর্তমানে হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও গণিত বিভাগের প্রধান। এই প্রতিযোগিতায় ৪৪ দেশের ২২০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ ইকোনমিকস অলিম্পিয়াড কমিটির মাধ্যমে ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশ দল এ প্রতিযোগিতায় নিয়মিত অংশ নিচ্ছে। এ বছর দেশব্যাপী বাছাইপর্বের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার প্রতিযোগীর মধ্য থেকে বাছাই করা হয় সেরা ১০ জনকে। এরপর মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে সেরা ৫ জন অংশ নেন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়। এ আয়োজনটি এ বছর লাটভিয়ার রাজধানী রিগায় অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতাটি ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি রাউন্ড, ইকোনমিকস অলিম্পিয়াড এবং বিজনেস কেস সলভিং রাউন্ডে বিভক্ত।
এ বছর প্রতিযোগাটির পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিল শেঠ গ্রুপ ও অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড। প্রতিযোগিতাটির জাজিং প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করেছে protijog.com, প্রতিযোগিতাটির মিডিয়া পার্টনার The Daily Star, রেডিও পার্টনার Peoples Radio 91.6FM।
বাংলাদেশ ইকোনোমিক্স অলিম্পিয়াড কমিটির নেতৃত্বে থাকা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং সমাজকর্মী কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এ বিজয়ে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘এই অদম্য তরুণদের হাত ধরেই একদিন গড়ে উঠবে স্বপ্নের বাংলাদেশ।’
বাংলাদেশ দলের কোচ ও ক্যাপস্টন স্কুল ঢাকার চেয়ারম্যান আখতার আহমেদ এ বিজয় উপলক্ষ্যে বলেন, ‘দেশকে বিজয়ী করতে বিশ্ববিজয়ীকে হারাও!’
বাংলাদেশ দলের এ সাফল্যের ব্যাপারটি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ইকোনমিক অলিম্পিয়াডের অর্গানাইজিং কমিটির প্রেসিডেন্ট তাহসিনুল ইসলাম বলেন, ‘গত তিন বছর ধরে আমরা এ প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে আসছি। গত বছরের অসাধারণ ফলাফলের পর এ বছরের দুর্দান্ত ফলাফল আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত সাহস যোগান দিবে।’
কমিটির সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কান্ট্রি কো-ওর্ডিনেটর হিসেবে ছিলেন রাফিদ আবরার।