রোজেন হাসান
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২১, ০৭:২৪ পিএম
প্রতীকী ছবি
হে রাজা বিষুবদর্শনের হৃদয়
শঙ্খের অন্ধকারে শ্বেত জেব্রা
যেখানে পুরুষ সিংহ
কার্তিকে তার কেশর মুছে ফেলছে
বাদামি সাভান্নায়।
তার চারপাশে শব্দময় সঙ্গমের জোড়
বহু দূরে যে ডোবা বানাবে
একাকিত্বের দীর্ঘ
অন্য গোত্রে, জলফোঁটায় যে দেখবে
অবয়ব, ভাষারই সেই বিবর্ধমানতা।
. . . .
রুদ্রের নিচে নিখাদ ছায়াহীন রোদ
নির্মাণের ধারণা
নির্ঝরিণীর স্বপ্নবিহীনতার মাঝে
কথা বলি সবুজ করোটির গভীরে
কার? শরীরে চুম্বকের ধারণালুপ্তিতে মুহূর্ততায়
মনে পড়ে হেসিওদের চূড়ার পৃথিবী
সান্ধ্যস্ফটিকের মতো ভেঙে পড়ছে
সমসংগীতে একা, কার মনে পড়বে?
সেই শেষ মুহূর্তটি
কণ্ঠস্বরের ধাপ লুপ্ত সমগ্রে!
তার বাঁশি তরুণ
ছায়াদের ভিড়ে
ভূমিকা
ফিরে এসেছে এক অনন্ত ছায়ার
ধারণাসহ
সেই ভাষা সোলেমন সেই ভাষা
পিঁপড়াদের রাজা এবং ডাইওনিসীয়
নর্তকীদের রক্তে ভিজে
অ-মূর্ত যে ছায়াদের পোষ মানিয়েছিল
নিজেকে বিলীন করতে!
নিজের সমূহ কীর্তি! সেই তো ধনেশ
বহু শোনার
আর পলকা শিরিশের দুলুনির মাঝে ছায়াবিশুদ্ধতা
তার মাংস বর্ণাভ সব কণ্ঠস্বর
ভেঙে
নেমে
যাচ্ছে
আমাতে, আর আমি তাকে হরিৎ সঞ্চয়ের দিকে
নিয়ে যাই
তিনবছর আগে মৃত শিশুটির ডাইনিং স্পেসে
এর নিচে যে সপ্তশূন্যের নোট ছিঁড়ছে
ঝির সুপ্তি
আনন্দিত ও বিষাদ।