পরীমণি র‍্যাব সদর দফতরে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২১, ০৮:২৭ পিএম | আপডেট: ০৪ আগস্ট ২০২১, ০৮:৩৮ পিএম

র‍্যাব হেফাজতে পরীমণি।

র‍্যাব হেফাজতে পরীমণি।

চিত্রনায়িকা পরীমণির বাসায় তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব সদর দফতরে নেয়া হচ্ছে।

বুধবার (৪ আগস্ট) রাত ৮টা ১০ মিনিটে পরীমণিকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র‌্যাব সদর দফতরের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে, বিকেলের দিকে পরিমণির বনানীর লেক ভিউ ১৯/এ নম্বর রোডের ১২ নম্বর বাড়িতে অভিযান শুরু করে র‍্যাব।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মইন বলেন, পরীমণিকে র‌্যাবের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আমরা তার বাসায় অভিযান চালাচ্ছি।

তিনি বলেন, বাসার ভেতর তল্লাশি করা হচ্ছে। বাসায় কোনো অবৈধ জিনিস আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাসায় অভিযান শেষে অবৈধ কিছু পাওয়া গেলে তাকে আটক করা হতে পারে।

এদিন বিকেলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চিত্রনায়িকা পরীমণি বাসায় অভিযান শুরু হয়। র‌্যাব ও পুলিশের সদস্যরা বনানীতে আলোচিত এই নায়িকার বাসার সামনে অবস্থান নেন। এরপর র‌্যাবের কয়েকজন সদস্য পরীমণির বাসায় যান। র‌্যাব পরিচয় দিলেও পরীমণি দরজা খুলেননি। 

পরে র‌্যাবের অভিযান টের পেয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন এই অভিনেত্রী। কিছুক্ষণ পর র‌্যাবের হস্তক্ষেপে লাইভ বন্ধ করতে বাধ্য হন নায়িকা। 

ফেসবুক লাইভে এসে পরীমণি অভিযোগ করেন, তার বাসায় ‘বিভিন্ন পোশাকে’ লোকজন এসে ফ্ল্যাটের দরজা খুলতে বলছেন। কিন্তু তিনি দরজা খুলতে ভয় পাচ্ছেন। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

পরীমণি লাইভে বলেন, ওই ব্যক্তিরা বাসার গেট ভেঙে উপরে এসে বারবার কলিং বেল বাজাচ্ছেন। পরিচয় জানতে চাইলে তারা পুলিশের লোক বলে দাবি করছেন। যদিও তাদের গায়ে বিভিন্ন রঙের পোশাক থাকায় বিশ্বাস করতে পারছেন না পরী।

এই অবস্থায় পরীমণি বনানী থানায় যোগাযোগ করেছেন বলেও লাইভে জানান। সেখান থেকে ফোর্স পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। ’কিন্তু তারা এখনও এসে পৌঁছায়নি’ লাইভে বলেন পরী।

পরীর ভাষ্য, ‘আমি এ কারণেই ভয় পাচ্ছিলাম। এখানে আমার কোনো নিরাপত্তা নেই। আমি এতো অসুস্থ। তিন দিন ধরে ঠিকমতো উঠতেই পারছি না।’

এক পর্যায়ে সহকর্মী, সাংবাদিক ও পরিচিতদের দ্রুত তার বাসায় যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন আলোচিত এই অভিনেত্রী।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh