জুনায়েদ আহম্মেদ, লক্ষ্মীপুর
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২১, ০৮:৫৫ পিএম
লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি
লক্ষ্মীপুরে দীর্ঘ সময়ের লোডশেডিং কমলেও, বেড়েছে কম সময়ের জন্য বার বার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ঘটনা। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনাকে পল্লী বিদ্যুৎ বলছে, ব্যবস্থাপনা ত্রুটি। এর ফলে একজন গ্রাহক প্রতিদিন গড়ে কমপক্ষে ৫-৭ বার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হচ্ছেন।
পঁয়তাল্লিশ বছর বয়সের বিধবা রেহেনা বেগমের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে তাকে সংসার চালাতে তিন হাজার টাকা পাঠান। তিনি থাকেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে। তাঁর ঘরে তিনটি বাতি ও দুটি ফ্যান চলে। এতে করে তাকে আগে বিল দিতে হতো দুইশত থেকে আড়াইশ টাকা; কিন্তু গত কয়েক মাস যাবত বিল দিতে হচ্ছে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা, যার প্রভাব পড়েছে সংসার চালানোর ওপর। লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে একাধিকবার ধরনা দেওয়ার পর দুইবার মিটার পরিবর্তনের ফলে বিলের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। শুধু রেহেনা বেগমই নন, এরকম ভুক্তভোগী পুরো জেলাতে কয়েক হাজার।
সম্প্রতি জেলার ৫টি উপজেলার কমপক্ষে ১০ জন গ্রাহকের বিদ্যুৎ ব্যবহারের অভিজ্ঞতার তথ্য নেওয়া হয়।
এ সময় গ্রাহকরা জানান, প্রতি মাসেই তাদের ব্যবহৃত মিটার রিডিংয়ের সঙ্গে বিলের মিল থাকে না; কিন্তু অভিযোগ জানাতেও টাকা লাগে সে কারণে অনেকেই কোনো অভিযোগ না জানিয়ে প্রতি মাসে বাড়তি টাকা দিচ্ছেন।
লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একজন মিটার রিডার জানান, প্রতি মাসে একজন মিটার রিডার প্রায় ২ হাজার মিটার রিড করতে পারে; কিন্তু সেখানে তাদের রিড করতে হয় প্রায় ৭-৮ হাজার। সেজন্য সঠিকভাবে মিটার রিডিং আসছে না। সে কারণে গ্রাহকও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
গ্রাহকদের এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আবু তাহেরের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, বর্তমানে প্রতিদিন লক্ষ্মীপুর জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১০১ মেগাওয়াট।
চাহিদা অনুযায়ী পুরো বিদ্যুৎই সরবরাহ করা হচ্ছে; কিন্তু গ্রাহক কেন বার বার ৫ মিনিট থেকে শুরু করে প্রায় ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিভ্রাটের সম্মুখীন হচ্ছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কম সময়ের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনাটি লোডশেডিং না। সেটা সিস্টেম ইন্টারপারশন ফ্রিকোয়েন্সি।