বেসরকারি শিক্ষকদের পদোন্নতি আটকে আছে কোন কারনে?

সৈয়দ শাহাদাত হোসাইন

প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২১, ১০:২০ পিএম

সৈয়দ শাহাদাত হোসাইন। ফাইল ছবি

সৈয়দ শাহাদাত হোসাইন। ফাইল ছবি

দেশের পাঁচ লাখের অধিক বেসরকারি শিক্ষকদের অনেকে পদোন্নতি পাওয়ার আশায় দিন গুণছে। আগের নীতিমালায় বিদ্যালয়ে কোন পদোন্নতি ছিল না এবং ইন্টারমিডিয়েট কলেজে ৩:১ এবং ডিগ্রি কলেজে ৫:২ অনুপাতে কিছু প্রভাষক পদোন্নতি পেতেন। বর্তমান নীতিমালাতে আট বছর পর বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষকের ৫০% সিনিয়র শিক্ষক এবং কলেজে ৫০% প্রভাষক সহকারী অধ্যাপক হতে পারবেন তাও আবার ডিগ্রি কলেজের ক্ষেত্রে। ইন্টারমিডিয়েট কলেজে একই নিয়মে পদোন্নতি পাবেন তাদের পদের নাম হবে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক। একই প্রতিষ্ঠানে যারা আগে সহকারী অধ্যাপক পদোন্নতি পেয়েছিলেন তাদের পদবী সহকারী অধ্যাপক ঠিক থাকবে, আবার যারা ৫০% এ জ্যেষ্ঠ প্রভাষক বা সহকারী অধ্যাপক হতে পারবেনা তারা সবাই ১৬ বছর পূর্তিতে সহকারী অধ্যাপক পদ বিনা কন্ডিশনে লাভ করবেন। 

এটি এক ধরনের হ য ব র ল নিয়ম। নতুন নীতিমালাতে স্কুল-কলেজে পদোন্নতি ক্ষেত্রে বৈষম্য আরো বাড়বে। যাই হোক নীতিমালা পাবলিস্ট হয়েছে আজ ৪/৫ মাস গত হলো অথচ কেন স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের পদোন্নতি আটকে আছে তা বুঝতে পারছি না।

বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের প্রাণের দাবি ছিল অনুপাত প্রথা বাতিল করে সরাসরি সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয়া কিন্তু; তা না করে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত অধিকারও কেড়ে নেয়া হয়েছে ইন্টারমিডিয়েট কলেজের প্রভাষকদের। 

শুধু তাই নই, সহকারি অধ্যাপক ছাড়া কোন জ্যেষ্ঠ প্রভাষক কিংবা প্রভাষক কলেজের অধ্যক্ষ পদের জন্য আবেদন করতে পারবে না বর্তমান নীতিমালাতে। যতদূর সম্ভব বিপত্তি দূর করে অবিলম্বে বেসরকারি শিক্ষকদের পদোন্নতি দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করি।

-সহকারী অধ্যাপক

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh