গার্ড অব অনার

নারী না রাখার সুপারিশ থেকে সরলো সংসদীয় কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২১, ০৮:৩৩ পিএম

বীর মুক্তিযোদ্ধা জেয়াদ আল মালুমকে গার্ড অব অনার দেন এসিল্যান্ড মারুফা সুলতানা খান হীরামনি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা জেয়াদ আল মালুমকে গার্ড অব অনার দেন এসিল্যান্ড মারুফা সুলতানা খান হীরামনি।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘গার্ড অব অনার’ দেয়ার ক্ষেত্রে নারী কর্মকর্তাদের বাদ রাখার সুপারিশ থেকে শেষ পর্যন্ত সরে এসেছে সংসদীয় কমিটি। কমিটি গত ১৩ জুনের বৈঠকের কার্যবিবরণীতে ওই সুপারিশ রাখেনি।

রবিবার (৮ আগস্ট) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বৈঠকের কার্যবিবরণী অনুমোদন দেয়া হয়।

জুন মাসে কমিটির বৈঠকে সুপারিশ করা হয়, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গার্ড অব অনার প্রদানের ক্ষেত্রে দিনের বেলায় আয়োজন করা এবং মহিলা ইউএনওর বিকল্প ব্যক্তি নির্ধারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এই সুপারিশের কথা পরে সংসদ সচিবালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়।

সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা মারা যাওয়ার পর তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানায় সংশ্লিষ্ট জেলা বা উপজেলা প্রশাসন। ডিসি বা ইউএনও সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে থাকেন। কফিনে সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী কর্মকর্তা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

অনেক স্থানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে নারী কর্মকর্তারা রয়েছেন, আর সেখানেই আপত্তি তোলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

কমিটির ওই সুপারিশের পর নানা মহলে সমালোচনা ওঠে। সংসদের অধিবেশনে বিরোধী দল, সরকারের শরিক ও খোদ সরকারি দলের সদস্যরাও এই সুপারিশের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সংসদীয় ওই কমিটির সুপারিশ যাতে বাস্তবায়ন না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি ওঠে সংসদে।

রবিবার (৮ আগস্ট) বৈঠকের পর কমিটির সভাপতি মো. শাজাহান খান বলেন, কমিটির একজন সদস্য ওই বিষয়ে আলোচনা তুলেছিল। আজ কার্যবিবরণী অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ওই বিষয়টি বাদ দেয়া হয়েছে।

ওই কার্যবিবরণীতে দেখা গেছে, ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত তালিকায় ‘গার্ড অব অনারে নারী কর্মকর্তা’ বাদ দেয়ার সুপারিশটি নেই। তবে ওই বিষয়টি কমিটির সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম যে আগের বৈঠকে তুলেছিলেন কার্যবিবরণীতে সেটা উল্লেখ রয়েছে।

এদিকে, বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও কল্যাণ ট্রাস্টের জমি-জমা সংক্রান্ত কাগজপত্র হালনাগাদের অগ্রগতি সম্পর্কিত তথ্যাদি আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে সকল সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি ও ২২টি বিশেষায়িত হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা হবে বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এছাড়া জেলা অথবা উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স অফিস নিচতলায় স্থাপন করার লক্ষ্যে বিদ্যমান দোকান স্থানান্তরের সুপারিশ করা হয়।

শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, কাজী ফিরোজ রশীদ এবং এ কে এম রহমাতুল্লাহ বৈঠকে অংশ নেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh