মদের খালি বোতল রাখা কি বৈধ?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২১, ০৭:৩৪ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নায়িকা, মডেলসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই সময় তাদের হেফাজত থেকে বিদেশি মদসহ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। গত ৪ আগস্ট চিত্রনায়িকা পরীমণির বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করে র‍্যাব। পরে আদালতে পরীমণির আইনজীবী দাবি করেছিলেন, মদের খালি বোতল ডেকোরেশন হিসেবে রেখেছিলেন পরীমণি। তখন প্রশ্ন উঠে মদের খালি বোতল রাখা কি অবৈধ?

আইনজীবী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, মদের খালি বোতল হেফাজতে রাখা অবৈধ নয়।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, মদের খালি বোতল রাখা অবৈধ নয়। আমরা যখন অভিযান পরিচালনা করি, তখন সেখানে অবৈধ জিনিসপত্রের সঙ্গে যদি কিছু থাকে সেগুলোও প্রয়োজনে জব্দ করি। যেমন সংশ্লিষ্টদের মোবাইল ফোন থাকলে সেটাও জব্দ করি। পরে আবার আদালতের আদেশে সেগুলো থানা থেকে তারা নিয়ে যান।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, মদের খালি বোতল মানে দুটো বিষয়। একটা হচ্ছে আপনি পানি খাওয়ার জন্য রেখেছেন। আরেকটা হচ্ছে মদ খেয়ে সেটা খালি করে রেখেছেন। ১৩০টি বোতলে তো আর আপনি পানি খাবেন না। এটা মদ খেয়েই রাখা সম্ভব। আর পরীমণির বাসায় ১৯ বোতল অরিজিনাল মদ ছিল। সেটার পাশাপাশি খালি থাকলে সেগুলোও নিয়ে আসতে হয়। মামলাটা হয়েছে কিন্তু মদ থাকা ১৯টি বোতলের জন্যই। খালি বোতলের জন্য মামলা হয়নি।

অন্যদিকে, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীরা বলছেন, মদের খালি বোতল রাখা অপরাধ হবে না। মূল কথা হচ্ছে, শুধু খালি বোতল উদ্ধারের কারণে কাউকে দোষী সাব্যস্তও করা যাবে না। মদ খেয়ে খালি করে রাখলেও সমস্যা নেই। উদ্ধারে দেখাতে হবে মদ আছে। মদের পাত্র নয়। মদের পাত্র কোনো অপরাধের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আইনে বলা হয়েছে মদ পেতে হবে।

উল্লেখ্য, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুসারে- অ্যালকোহল জাতীয় মাদককে খ শ্রেণির মাদক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই আইনের একটি ধারায় বলা হয়েছে- মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১০ কেজি অথবা লিটারের বেশি এবং ১০০ কেজি অথবা লিটার হলে সর্বনিম্ন ৩ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড কার্যকর হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh