সীমান্ত এলাকায় মাল্টা চাষে সফলতা

জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, সুনামগঞ্জ

প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২১, ০৩:১৭ পিএম

সুনামগঞ্জে মাল্টা চাষে সফলতা

সুনামগঞ্জে মাল্টা চাষে সফলতা

সীমান্ত এলাকায় মেঘালয়ের নীল পাহাড়ের কাছাকাছি সবুজ মাল্টা বাগান দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। বাগানে যেদিক চোখ যায় সে দিকেই শত শত গাছে ঝুলে আছে মাল্টা। ২০১৭ সালে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাষিদের বারি মাল্টা-১ চাষে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি আগ্রহী চাষিদের বিনামূল্যে মাল্টা চারাও প্রদান করা হয়। এর দু’বছর পর থেকেই ফল ধরতে শুরু করে। সারা বছর ফল দেয়। গাছের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফলনও বাড়তে থাকে বলে জানান মাল্টা চাষিরা। 

উপজেলা ও জেলায় চাহিদা বাড়ছে আর ব্যবসায়ীরাও হলুদ রঙের মাল্টার বিকল্প হিসাবে গ্রিন মাল্টা বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা । সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের চিনাকান্দি ও সলুকাবাদ ইউনিয়নের আক্তাপাড়া, সোনাপাড়া গ্রামের তিন কৃষক গ্রিন মাল্টা চাষ করছেন। মাল্টা বিক্রি করে তারা এখন বেশ লাভবান। লাভবান হওয়ায় মাল্টা চাষে আগ্রহ বেড়েছে অন্যান্য চাষিদের মধ্যে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান মাল্টা চাষিরা। 

উপজেলা কৃষি অফিস সোনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা চাষি আব্দুর রবকেও মাল্টা গাছের চারা প্রদান করলে তিনি ১০ শতক জমিতে ৫০টি গাছ রোপণ করেন। 

তিনি জানান, বাগান ছোট থাকায় মাত্র ২৫ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করেছেন। 

সুনামগঞ্জ শহর ও উপজেলার বিভিন্ন বাজারে একাধিক ফল ব্যবসায়ী জানান, আমরা বাইরে থেকে হলুদ রঙের মাল্টা এনে বিক্রি করি। বেশি করে স্থানীয় উৎপাদিত মাল্টা বিক্রি করার চিন্তায় আছি কারণ চাহিদাও আছে আর এর লাভও ভালো হয়। 

ধনপুর ইউনিয়নের মাছিমপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামছুল আলম বলেন, আমার ব্লকের অন্তর্ভুক্ত এই মাল্টা বাগানে ভালো উৎপাদনের জন্য সার্বক্ষণিক পরামর্শও দিয়ে আসছি। এখন ভালো ফলন হয়েছে কৃষকদের। মাল্টা উৎপাদন করে কৃষকরা খুশি।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh