কাবুলে এখনো ৯ বাংলাদেশি রয়েছেন

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২১, ০৩:২১ পিএম

কাবুল বিমানবন্দরের দিকে ছুটছে লোকজন। ছবি : রয়টার্স

কাবুল বিমানবন্দরের দিকে ছুটছে লোকজন। ছবি : রয়টার্স

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে এখন পর্যন্ত নয় বাংলাদেশি থাকার তথ্য রয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে। তাদের মধ্যে ছয়জন ব্র্যাকের কর্মী। বাকি তিনজন রয়েছেন কাবুলের কারাগারে।

আফগানিস্তানে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে থাকা জাহাঙ্গীর আলম জানান, ব্র্যাকের ছয় কর্মী সংস্থার আবাসিক পরিচালকের বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন। যে কারাগারে তিনজন বাংলাদেশি ছিলেন সেখানে তালেবান যোদ্ধারা ঢুকে পড়ায় বাংলাদেশি এক বন্দি পালিয়ে এসে দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করেছেন।

আফগানিস্তানে বাংলাদেশের দূতাবাস নেই। উজবেকিস্তানে জাহাঙ্গীর আলম একসাথে আফগানিস্তান, কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তানে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে আছেন।

ব্র্যাকের কর্মীদের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, সিনিয়র কর্মী ঢাকা জেলার করিম শিকদারের সাথে কথা হয়েছে। তারা ১৮ তারিখের ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফিরে আসার চেষ্টা করছেনভ

বাকি পাঁচজন হলেন- রংপুরের আসাদুজ্জামান, ঢাকার মোহাম্মদ সরফরাজ, যশোরের কামাল হোসেন, ফরিদপুর রফিকুল হক মৃধা ও নোয়াখালীর ইউসুফ হোসেন৷

রাষ্ট্রদূত বলেন, কাবুলে পুল এ চরকি নামে একটি বড় জেলখানায় তিনজন বাংলাদেশি ছিল। তাদের একজন খুলনা জেলার মঈন আল মেসবাহ। তালেবান প্রবেশ করার ফলে কয়েদিরা সব পালিয়ে গেছেন, তাদের মধ্যে আমাদের মঈন আল মেসবাহও আছেন। অন্য দুজন বন্দি ঢাকার ভাসানটেকের কাউছার সুলতানা ও নোয়াখালীর ওবায়দুল্লাহ।

তিনি বলেন, এরা দুজন ভেতর থেকে বের হতে পেরেছে কিনা, আমরা শিওর হতে পারিনি। জানার চেষ্টা চালাচ্ছি। যিনি বের হতে সক্ষম হয়েছেন তাকে পরবর্তী ‘অ্যাভেইলেভল' ফ্লাইটে দেশে ফিরে আসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রত্যাহারের দুই দশক পর আবারো কট্টর তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি পালিয়েছেন। 

কাবুলের বাইরে অন্য এলাকায় বাংলাদেশি আছে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন রাষ্ট্রদূত। তবে +৯৯৮-৯৯৯১১৯১০২ এবং +৯৯৮-৯৭৪৪০২২০১ এই দুটি হটলাইন নম্বর চালু করে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। -ডয়চে ভেলে

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh