দুর্বলতা দূর করবে যে সব খাবার

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২১, ০৯:৩৩ এএম

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আলসেমির রয়েছে নানা কারণ। নারী-পুরুষনির্বিশেষে সবাই কমবেশি ক্লান্তিজনিত আলস্যের শিকার হয়ে থাকেন। কিন্তু এ ধরনের অলসতা, ক্লান্তি বা অবসাদের জন্য খাদ্যাভাসকে দায়ী করা হয়। খাবার আমাদের শরীরে জ্বালানির ভূমিকা পালন করে। এই জ্বালানি হিসেবে যা আমরা বাছাই করি, তা-ই আমাদের শরীরের কর্মদক্ষতার ওপর প্রভাব ফেলে।

শরীরের দুর্বলতা কাটাতে উপযোগী কিছু খাবারের তালিকা-

পানি: আমাদের শরীরের দুই-তৃতীয়াংশই পানি। এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে খাদ্য উপাদান পরিবহন করে। শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে ভারসাম্যহীনতা ও দুর্বলতা দেখা দেয়। তাই সুস্থতার জন্য পানি একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। আমাদের শরীরে যে পরিমাণ পানি প্রয়োজন, দৈনন্দিন খাবার থেকে তার মাত্র শতকরা ২০ ভাগ পূরণ হয়। আর গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণ পানি পান করা উচিত।

চা বা কফি: শরীরকে চাঙা করতে ক্যাফেইনসমৃদ্ধ পানীয় (যেমন: চা বা কফি) বিশেষ সহায়ক। এটি হৃৎযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বাড়ায় এবং শরীরকে উদ্দীপ্ত রাখে। তবে দিনের শেষের দিকে চা বা কফি বেশি পান করলে রাত্রে নিদ্রাহীনতা দেখা দিতে পারে। 

রসুন: দৈহিক সমস্যা থাকলে এখনই নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। স্মরণাতীতকাল থেকেই নারী পুরুষ উভয়েরই দৈহিক শক্তি বাড়াতে রসুনের পুষ্টিগুণের কার্যকারিতা সর্বজনস্বীকৃত। রসুনে রয়েছে এলিসিন নামের উপাদান যা দৈহিক ইন্দ্রিয়গুলোতে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়।

ডিম: দৈহিক দুর্বলতা দূর করতে এক অসাধারণ খাবার ডিম। প্রতিদিন সকালে, না পারেন সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ১টি করে ডিম খান। এতে আপনার দুর্বলতার সমাধান হবে।

চকলেট: চকলেটে রয়েছে ফেনিলেথিলামিন (পিইএ) ও সেরোটোনিন। এ দুটি পদার্থ আমাদের মস্তিষ্কেও রয়েছে। এগুলো দেহে শক্তির মাত্রা বাড়াতে সহায়ক। পিইএ’র সাথে অ্যানান্ডামাইড মিলে অরগাজমে পৌঁছাতে সহায়তা করে।

ভিটামিন সি জাতীয় ফল: দৈহিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় রঙিন ফলমূল রাখুন। আঙ্গুর, কমলা লেবু, তরমুজ, পিচ ইত্যাদি ফল দৈহিক ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী। 

দুধ: যেসব খাবারে বেশি পরিমাণ প্রাণিজ-ফ্যাট আছে এমন প্রাকৃতিক খাদ্য দৈহিক শক্তির উন্নতি ঘটায়। যেমন, খাঁটি দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি। বেশিরভাগ মানুষই ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে চান। কিন্তু যদি দৈহিক শক্তির হরমোন তৈরি হওয়ার পরিমাণ বাড়াতে চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবারের দরকার। তবে সবগুলোকে হতে হবে প্রাকৃতিক এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট।

মধু: মধু শরীর ও মনের দুর্বলতা কাটাতে ও চাপ কমাতে সহায়তা করে। এটি খুব ভালো প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। এতে থাকে ক্যালসিয়াম, লৌহ, সিলিকন, ফসফরাস ও ভিটামিন। বিশেষ করে এটি ভিটামিন-বির খুব ভালো উৎস হিসেবে কাজ করে।

আদা: এতে অনেক ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে। সকালে পানির সাথে আদার রস ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

কলা: কলার রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি ও পটাশিয়াম। ভিটামিন বি ও পটাশিয়াম দৈহিক শক্তি বাড়ায়। আর কলায় রয়েছে ব্রোমেলিয়ানও। যা শরীরের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতেও সহায়ক। আর সর্বোপরি কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ শর্করা যা আপনার দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। ফলে ক্লান্তি আসবে না।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh