পেঁপে চাষে সফলতা

মো. জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২১, ০৩:১০ পিএম

গাজীপুরে পেঁপে চাষে সফলতা

গাজীপুরে পেঁপে চাষে সফলতা

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের পাথারপাড়া গ্রামের জহিরুল ইসলাম সরকার। টানা ছয়বার টপলেডি জাতের পেঁপে চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তার পেঁপে বর্তমানে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় বিক্রি হচ্ছে। সাত বিঘা জমিতে শুধু সবুজ পেঁপে গাছ আর প্রতিটি গাছে ঝুলছে থোকায় থোকায় পেঁপে। তার বাগানের ফলন দেখে উৎসাহিত হচ্ছেন এলাকার অন্য কৃষকও। 

উপজেলার পাথারপাড়া গ্রামের রাইজুদ্দিন সরকারের ছেলে জহিরুল ইসলাম সরকার। একসময় তিনি পোলট্রি শিল্পের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। চোখভরা স্বপ্ন নিয়ে গড়ে তোলেন লেয়ার মুরগির খামার। খামারে একটুও সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ১৫ লাখ টাকা ঋণ হয়ে গেছে তার। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দিশেহারা হয়ে ২০১৬ সালে পেঁপে চাষ করার উদ্যোগ নেন। প্রথম বছর চাচাদের কাছ থেকে দুই বিঘা জমি লিজ নিয়ে পেঁপে চাষ শুরু করেন। এতে তার খরচ হয়েছিল দেড় লাখ টাকা। সে বছর বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ টাকা। পরের বছর ২০১৭ সালে ৪ বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করে প্রায় ৩ লাখ টাকা আয় হয়। এরপর থেকে তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। 

জহিরুল বলেন, ৬ বছর ধরে টপলেডি জাতের পেঁপে আবাদ করে ঋণমুক্ত হয়েছি। সংসারের অভাব-অনটন অনেকটা দূর হয়েছে। প্রতি মৌসুমে নিজেদের চাহিদা পূরণ করাসহ সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৬ লাখ টাকা মুনাফা থাকে। গত বছর পেঁপের আবাদ করে সাড়ে ৭ লাখ টাকা খরচ করেছি, মুনাফা পেয়েছি ১২ লাখ টাকা। এই মৌসুমে আবহাওয়া ভালো থাকলে প্রতি মণ কাঁচা পেঁপে ১ হাজার ৫শ’ থেকে ১ হাজার ৬শ’ ও পাকা ২ হাজার ৮শ’ থেকে ৩ হাজার  টাকা বিক্রি করার আশা করছি। 

দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা তার বাগানের পেঁপে কিনে নিয়ে যান। সামনে আরও বেশি জমিতে পেঁপে চাষের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি। ভবিষ্যতে এই পেঁপে চাষকে নিজের এলাকাসহ দেশের বেকার মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএসএম ময়ীদুল হাসান বলেন, পেঁপে চাষে সফলতার পেছনে রয়েছে তার নিরলস প্রচেষ্টা। উপজেলা কৃষি অফিস তাকে সবসময় সার্বিক পরামর্শ দিয়ে আসছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh