ট্রলারডুবিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২, নৌযান চলাচল বন্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২১, ১১:১৪ এএম

স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত

স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লইসকা বিলে ট্রলারডুবির ঘটনায় নাশরা (৩) নামে আরো এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২২ জনের লাশ উদ্ধার করা হলো। এখনো বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। 

আজ শনিবার (২৮ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে আবারো উদ্ধার অভিযান শুরু করে বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ডুবুরি দল ও ফায়ার সার্ভিসের ২২ জনের একটি টিম। সকাল পৌনে ১০টার দিকে তারা শিশু নাশরার লাশ উদ্ধার করে।

ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা তৌফিকুল ইসলাম ভূইয়া এ তথ‌্য নিশ্চিত করে বলেন, শিশুটির চাচা শাহিদ হোসেন লাশ শনাক্ত করেন।

এদিকে ট্রলারডুবির ঘটনায় চম্পকনগর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া নৌপথে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ সকাল থেকে এ পথে নৌযান চলাচল বন্ধ আছে। এতে চম্পকনগর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নৌপথে যাতায়াতকারী যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, পত্তন ও মণিপুর গ্রামের মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় করেছেন। চম্পকনগর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া নৌপথে পণ্যবাহী বা যাত্রীবাহী কোনো নৌযান চলাচল করতে দেখা যায়নি। মানুষকে বাধ্য হয়ে সড়কপথে শহরে যেতে হচ্ছে।

এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২৭ আগস্ট) রাত পৌনে ৯টার দিকে তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খাঁন।

তিনি বলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিনকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বিকেল সোয়া ৫টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লইসকা বিলে যাত্রীবোঝাই ট্রলারের সঙ্গে বালুবোঝাই অপর একটি ট্রলারের সংঘর্ষের ঘটে। যাত্রীবাহী ট্রলারটি বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ঘাট থেকে জেলা শহরের আনন্দবাজার ঘাটের দিকে আসছিল।

মৃতদের মধ্যে ১৮ জনের নাম পরিচয় জানা গেছে। এছাড়া শনাক্তের পর স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চলছে মরদেহ শনাক্তের কাজ। সেখানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) আবু সাঈদ, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত কুমার বৈদ্যসহ সরকারি কর্মকর্তারা রয়েছেন। 

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন জানান, কিছু মরদেহ ঘটনাস্থলে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জেলা সদর হাসপাতালেও বেশকিছু মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করতে এখানে এসেছেন। শনাক্ত করে মরদেহ হস্তান্তর করা হচ্ছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh