শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২১, ০৩:০৯ পিএম
ফসলি জমিতে বন্যহাতির তাণ্ডব
পাহাড়ি হিংস্র বন্যহাতির দল সীমান্তে করেছে আস্তানা। দিনে পালিয়ে থাকে গহীন অরণ্যে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে নেমে আসে পাহাড় থেকে। তাণ্ডব চালায় ফসলি জমিতে। খেয়ে সাবাড় করে দেয় ক্ষেতের ফসল। পা দিয়ে মাড়িয়ে পিষে ফেলে ফসল।
শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী শ্রীবর্দী, ঝিনাইগাতি ও নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ে হাতির তাণ্ডব বন্ধ হচ্ছে না কিছুতেই। হাতির সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে আগের চেয়ে দ্বিগুণ।
বেশ কয়েকদিন ধরে বন্য হাতির বিশাল একটি দল অবস্থান করছে সীমান্তঘেঁষা ভারতীয় মেঘালয় রাজ্যের চেরেংপাড়া পাহাড়ি অঞ্চলে। হাতির এই দলটি প্রায় প্রতিদিন নালিতাবাড়ী উপজেলার পানিহাটা এলাকার মারং গোঁফ ও তালতলা দিয়ে নেমে আসছে আবাদি জমিতে। পানিহাটা মৌজার আমন আবাদ বিনষ্ট করে দিচ্ছে হাতি।
গত সাত দিনে অব্যাহত হাতির অত্যাচারে পানিহাটায় বিনষ্ট হয়েছে প্রায় ২০ একর জমির আমন ধানক্ষেত। এতে দিশেহারা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক। নতুন করে চারা রোপণের আর কোনো উপায় নেই। বছরের পর বছর ক্ষতিগ্রস্ত এসব কৃষক হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। চলতি আমন আবাদে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য বিশেষ প্রণোদনার দাবি জানান সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য।
রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকা হাতির আক্রমণ রোধে সরকারের স্থায়ী পদক্ষেপ কামনা করেন। শেরপুর সীমান্তে বছরের পর বছর ধরে বন্যহাতির তাণ্ডবে পাহাড়ি মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিসহ।