‘ডিএনএ টেস্ট করলে প্রমাণিত হবে এটি জিয়ার কবর নয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২১, ০৫:৩৭ পিএম

জিয়াউর রহমানের কবর। ইনসেটে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ছবি: সংগৃহীত

জিয়াউর রহমানের কবর। ইনসেটে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জিয়ার ‘ভুয়া’ কবর নিয়ে মিথ্যাচার করবেন না। জিয়ার ডিএনএ টেস্ট করে দেখুন। অবশ্যই প্রমাণিত হবে এটি কখনোই জিয়ার কবর নয়। স্থপতি লুই আই কানের মূল নকশা অনুযায়ী জাতীয় সংসদ ভবনের নকশা করা হবে। জিয়ার ভুয়া কবর এই নকশার বাইরে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অন্য ব্যক্তির লাশ নিয়ে এসে এখানে কবর দেয়া হয়েছে। জিয়ার ভুয়া কবর এখানে থাকতে পারে না। এই ভুয়া কবর দ্রুত সরিয়ে ফেলা হবে।

মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) শাহবাগে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির উদ্দেশে এসব কথা বলেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তার আদর্শ হত্যা করা সম্ভব হয়নি। বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নেতা ছিলেন না। তিনি বিশ্ব মানবতার নেতা ছিলেন। তিনি ছিলেন বিশ্বের দরিদ্র মানুষের মুক্তির দূত। আমি আবারও বিএনপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলছি, জিয়ার ভুয়া কবর নিয়ে মিথ্যাচার করবেন না। জিয়ার ডিএনএ টেস্ট করে দেখুন। অবশ্যই প্রমাণিত হবে এটি কখনোই জিয়ার কবর নয়। 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূল কুশীলব জিয়ার দল বিএনপি এখনো ষড়যন্ত্র করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংসকারী জিয়ার ভুয়া কবর নিয়ে বিএনপি অপরাজনীতি করার চেষ্টা করছে। দেশের জনগণ বিএনপির প্রতারণা বুঝে গেছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে অতীতের ন্যায় সামনের দিনগুলোতে তরুণ প্রজন্মকে আরও ভূমিকা পালন করতে হবে।

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, বিহারীপুত্র আসিফ নজরুল জঙ্গি সংগঠন তালেবানের সমর্থনে বক্তব্য দেয়ার অপরাধে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় দ্রুত গ্রেফতার করার দাবি জানাচ্ছি। এই শিক্ষক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। শহিদ জননী জাহানারা ইমামের সঙ্গে প্রতারণা করে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক তথ্য-উপাত্ত ও দালিলিক প্রমাণ রাজাকারদের কাছে বিক্রি করে বিহারীপুত্র আসিফ নজরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি নিয়েছিল। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার অপচেষ্টা করছে। পাকিস্তানের গুপ্তচর জিয়া কখনোই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। পাকিস্তানের আইএসআইয়ের এজেন্ট হিসেবে জিয়া কাজ করেছিল। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জিয়ার দোসরদের সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। 

আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ঢাবির দর্শন বিভাগের অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ, যুবলীগ নেতা আরিফুর রহমান সোহেল, ভাস্কর শিল্পী রাশা, সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদসহ প্রমুখ।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh