তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাহত

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২১, ১০:০৬ পিএম

তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল করতে পারছে না

তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল করতে পারছে না

নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল করতে পারছে না। স্রোতের কারণে আগের তুলনায় এখন সময়ও বেশি লাগছে। অন্যদিকে, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুট কয়েকদিন ধরে বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত গাড়ির চাপ রয়েছে শরীয়তপুর চাঁদপুর সড়কের নরসিংহপুর ফেরিঘাটে। ফেরি পারাপারের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। তবে নিয়মিত ৭টা ফেরি চলছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন।

মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় পণ্যবাহী ট্রাক ফেরি পারাপারের জন্য দীর্ঘ সারিতে অপেক্ষা করছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছে ট্রাকের চালক ও হেলপাররা।

বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, মোংলা স্থলবন্দর, ভোমরা স্থলবন্দর, বেনাপোল, বরিশাল, খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার পরিবহন শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কের নরসিংহপুর এলাকার ফেরিঘাট দিয়ে নদী পারাপার হয়ে থাকে। নরসিংহপুর ফেরিঘাটে নিয়মিত ৬টি ফেরি চলে। বাড়তি চাপের কারণে গত ১৫ আগস্ট কাকলী নামের একটি বড় ফেরি যুক্ত হয়েছে এ রুটে। এখন প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৬৩০টি যানবাহন পারাপার হতে পারে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে আছে পণ্যবাহী ট্রাক। এছাড়া ফেরি ঘাটের মাঠে কয়েক সারিতে রয়েছে গাড়ি। ৭টি ফেরির জন্য ২টি ঘাট রয়েছে। ব্যক্তিগত গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও বাসের কোনো সিরিয়ালের প্রয়োজন হচ্ছে না। ঘাটে ফেরি থাকলে তাদের ওঠানোর ব্যবস্থা করছে ঘাট নিরাপত্তায় থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা।

বরিশাল থেকে আসা ট্রাকচালক হাকিম মুন্সি বলেন, সকালের দিকে ঘাটে এসেছি। এখন সবার সামনে। ফেরি এলেই হয়তো উঠব। কিন্তু সারাদিন ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। শিমুলিয়া বাংলাবাজার ফেরিঘাট বন্ধ থাকায় এ রুটে যেমন ব্যক্তিগত গাড়ি বেড়েছে সেই সঙ্গে বাসের সংখ্যা বেড়েছে। ফেরিতে দুই থেকে পাঁচটির বেশি পণ্যবাহী যানবাহন উঠাচ্ছে না। ওই রুট বন্ধ থাকা পর্যন্ত এই রুটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো উচিত।

বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার আব্দুল মমিন বলেন, তীব্র স্রোতের কারণে আগের থেকে বেশি সময় লাগছে ফেরি পাড়াপাড় হতে। এতে করে যানবাহনের চাপ কিছুটা বেড়েছে। আমাদের দুটি ঘাটে ৭টি ফেরিই সচল রয়েছে। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh