মোহাম্মদ তারেক
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:৪৭ এএম | আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০১:২৯ পিএম
আজমেরী হক বাঁধন
আজমেরী হক বাঁধন ওয়েব সিরিজ ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি তে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এর আগে কান চলচ্চিত্র উৎসবে বাঁধন অভিনীত আবদুল্লাহ মোহাম্মাদ সাদের ছবি ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ পেয়েছে বোদ্ধাদের প্রশংসা। নিজের কাজ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক দেশকালের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোহাম্মদ তারেক
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি’ ওয়েব সিরিজ নিয়ে দর্শকের কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন?
দর্শকরা সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদের ভালো লাগার কথা লিখছেন। আলোচনা করছেন আমার কাজ নিয়ে। বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে তারা মুসকান জুবেরী সেজে ছবি তুলে পাস্ট করছেন। কোথাও গেলে অচেনা মানুষজন আমাকে দেখে অনুপ্রাণিত হবার কথা বলছেন। এ বিষয়গুলো আমি ভীষণভাবে উপভোগ করছি।
মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের উপন্যাস পড়ার পর ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন। সৃজিত মুখার্জি মূল গল্পকে কতটা পর্দায় তুলে ধরতে পেরেছেন?
একজন পাঠক বই পড়লে তার মতো করে দৃশ্য সাজিয়ে নেয়। আমি যখন বইটি পড়েছি তখন যেভাবে মুসকান জুবেরীকে কল্পনা করেছি, সেভাবেই অভিনয়ের চেষ্টা করেছি। সৃজিতও যেভাবে গল্পটি কল্পনা করেছেন সেভাবেই ওয়েব সিরিজ বানিয়েছেন।
কান চলচ্চিত্র উৎসবে আপনার সিনেমা প্রশংসা কুড়িয়েছে। ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকের ভালোবাসা পাচ্ছেন। এসব পাওয়ার পর আপনি কিসে মনোযোগ দিচ্ছেন?
গত তিন বছর ধরে আমি মানুষ হওয়ার প্রক্রিয়ায় মনোযোগ দিয়েছি। এর আগে সমাজের আদর্শ নারী হতে চেয়েছি। এখন অনেককিছু শিখতে চাই। নিজের ভুলগুলো শুধরে নিতে চাই। কাজের ক্ষেত্রে বলব আমি অত্যন্ত সৌভাগ্যবতী। আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ ছবিতে আমাকে নিয়েছেন। এরপর আর কাজ না করতে পারলেও আফসোস থাকবে না। আমি এ ছবির পর সৃজিতের ওয়েব সিরিজ করেছি। পিপলু আর খানের মিউজিক্যাল ফিল্ম করেছি। এ কাজগুলোও আমার পছন্দের। হয়তো কখনো আরেকটি ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ পাবো না। তবে আমি যে চরিত্রেই কাজ করি না কেন, তা সাধ্যমতো করার চেষ্টা থাকবে।
কান উৎসবের লালগালিচায় হেঁটেছেন। নিত্যনতুন পোশাকে দেখা গেছে আপনাকে। সে অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
কান উৎসবে কোন পোশাক পরব তা নিয়ে ভাবার তেমন সুযোগ পাইনি। আমি ভিসা পেয়েছি দুপুর ৩টায়। আমাদের ফ্লাইট পরদিন ভোর ৪টায়। আমি শেষ সময়ে জেনেছি বাড়তি ৯ দিন আমাকে সেখানে থাকতে হবে। তাছাড়া শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সাদ সম্পাদনার কাজ করেছে। সেজন্য একটা চাপ ছিল। আমি আড়ংয়ের সঙ্গে কথা বলে জামদানি ও ব্লাউজ পরব ঠিক করি। আমি কানের লালগালিচায় বাংলাদেশকে তুলে ধরতে চেয়েছি। তাই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। অন্য পোশাকের ব্যাপারে সাদ আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল। সে বলেছে, তোমার সিনেমা কান উৎসবে আমন্ত্রণ পেয়েছে। তুমি নিজেই একটি ব্র্যান্ড। যে পোশাক পরবে সেটিই ঠিক আছে।
নির্মাতা সাদের অন্তর্মুখী স্বভাবের জন্য গণমাধ্যমের সঙ্গে তার একটি দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে আপনার কী বক্তব্য?
সাদ কথা বলার চেয়ে কাজ করতে ভালোবাসে। সে বিশ্বাস করে কাজই তার হয়ে কথা বলবে। তার যে সার্কেল আছে তাদের সঙ্গেও প্রয়োজনের বাইরে কথা বলে না। ই-মেইল কিংবা ম্যাসেজে জরুরি আলাপ সেরে নেয়। ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ করার সময় আমার সঙ্গেই তার দুই মাস যোগাযোগ হয়নি। এটা তার ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য। আমার মনে হয় যার যার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গিকে সম্মানের সঙ্গে দেখা উচিত।
ছবিটি সম্প্রতি পাইরেসির শিকার হয়েছে। এ নিয়ে কী বলবেন?
এ ছবিটির সঙ্গে এমনটি না করলেও হতো। সাদ খুবই মর্মাহত। আমরা দ্রুত ছবিটি সিনেমা হলে মুক্তি দিতে চাচ্ছি। সবার সঙ্গে ছবিটি দেখতে চাই।