স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৬:২৬ পিএম | আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৬:২৯ পিএম
১৪২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেলেও ঘুরে দাড়িয়েছে কিউইরা। সাকিব-মেহেদীর বোলিং নৈপুণ্যে ৬ ওভারে ২ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সফরকারীদের সংগ্রহ ১০ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান।
তৃতীয় ওভারে বল করতে এসেই সাফল্য পায় সাকিব আল হাসান। রাচিন রবীন্দ্রকে বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখান। পরের ওভারেই মেহেদীর বলে স্টাম্পড হন টম ব্লান্ডেল।
এর আগে ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। সিদ্ধান্তটা ভুল বলা যাবে না। দুই ওপেনার নাইম শেখ আর লিটন দাস শুরুটা করেন বেশ দেখেশুনে।
মারমুখী ব্যাটিং না করে পিচের চরিত্র বুঝে এগিয়েছেন তারা। ফলে প্রথম ৬ ওভারের পাওয়ার প্লে’তে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৬ রান তুলে বাংলাদেশ।
উইকেটে সেট হয়ে হাত খুলতে খেলতে যাচ্ছিলেন লিটন। দশম ওভারে কিউই স্পিনার রাচিন রবীন্দ্রকে স্লগ সুইপে মিডউইকেটের ওপর দিয়ে ৮৪ মিটার ছক্কাও হাঁকান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
কিন্তু ওই ওভারেই বোকার মতো কাজ করে বসেন। অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল আলতো খোঁচায় টেনে এনে ভাঙেন স্ট্যাম্প। ২৯ বলে ৩ বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় লিটনের ৩৩ রানের ইনিংসটির অপমৃত্যু তাতেই, ভাঙে ৫৯ রানের ওপেনিং জুটি।
পরের বলে আবারও বিপদ বাংলাদেশের। এবার মুশফিকুর রহীম টার্ন বুঝতে না পেরে পা কিছুটা এগিয়েছিলেন, নিমিষেই স্ট্যাম্প ভেঙে দেন উইকেটরক্ষক টম ল্যাথাম। গোল্ডেন ডাকে ফিরতে হয় টাইগার দলের ব্যাটিং ভরসাকে।
উইকেটে এসে সাকিব আল হাসান চালিয়ে খেলছিলেন। দারুণ দুটি বাউন্ডারিও হাঁকান। কিন্তু ৭ বলে ১২ করে ফিরতে হয় তাকেও। ৫৯ থেকে ৭২, ১৩ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা।
সেখান থেকে ২৮ বলে ৩৪ রানের জুটি নাইম আর মাহমুদউল্লাহর। ৩ বাউন্ডারিতে বল সমান ৩৯ করা নাইমকে ফিরিয়ে এই জুটিটি ভাঙেন রবীন্দ্র। পায়ের বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে লংঅনে টম ব্লান্ডেলের হাতে ধরা পড়েন টাইগার ওপেনার।
বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আফিফ হোসেন ধ্রুব। উইকেটে এসেই ডাউন দ্য উইকেটে বড় শট খেলতে গিয়ে লংঅনে ক্যাচ হন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান (৩ বলে ৩)।
তবে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ খেলেছেন অধিনায়কের মতোই। দায়িত্ব নিয়ে একদম শেষ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করেছেন। সঙ্গে ছিলেন নুরুল হাসান সোহান। তাদের ২২ বলে ৩২ রানের জুটিতেই মূলত ১৪১ পর্যন্ত গেছে টাইগাররা।
সোহান ইনিংসের একদম শেষ বলে আউট হন ৯ বলে ১৩ করে। মাহমুদউল্লাহ ৩২ বলে ৫ বাউন্ডারিতে অপরাজিত থাকেন ৩৭ রানে।
কিউই বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল বাঁহাতি স্পিনার রাচিন রবীন্দ্র। ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন তিনি।