পানশিরে তালেবান-এনআরএফ তুমুল সংঘর্ষ, বহু হতাহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৬:৪৯ পিএম

অস্ত্র হাতে তালেবান যোদ্ধারা

অস্ত্র হাতে তালেবান যোদ্ধারা

আফগানিস্তানের পানশিরে তালেবানের সঙ্গে বিরোধীদের তীব্র সংঘর্ষ চলছে। প্রদেশটির বেশ কিছু অঞ্চল দখলের দাবি করেছে তালেবান। পানশিরে তালেবানবিরোধী ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের (এনআরএফ) অনেক সদস্য হতাহত হয়েছেন বলেও দাবি করেছে তারা। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

গত বুধবারই পানশির ঘিরে ফেলার দাবি করে তালেবান। এর পর থেকেই সেখানে সংঘাত চলছে। তবে পানশিরে তালেবানের সাফল্যের দাবির বিপরীত কথা বলছে এনআরএফ। প্রদেশটির সব প্রবেশমুখ নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা জানিয়েছে তারা। দুই পক্ষের লড়াইয়ে তালেবানের শতাধিক সদস্যের নিহত হওয়ার দাবিও করেছে এনআরএফ।

আফগানিস্তানের শেষ প্রান্তের প্রদেশ পানশির। কাবুলের উত্তরে হিন্দুকুশ পর্বতমালায় এর অবস্থান। গত ১৫ আগস্ট তালেবান রাজধানী কাবুলের মধ্য দিয়ে দেশটির ৩৪ প্রদেশের ৩৩টি দখল করে। তবে এখনো তাদের নিয়ন্ত্রণে বাইরে রয়েছে পানশির।

পানশিরে হামলার আগে বিরোধীদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চালানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ। তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সমঝোতার চেষ্টা বিফল হওয়ার পরই পানশিরে প্রবেশ করে তালেবান সদস্যরা।

তালেবান ও এনআরএফের নিজ নিজ স্বার্থের পক্ষে শক্ত অবস্থানের কারণে সমঝোতার চেষ্টা ব্যর্থ হয় বলে বিবিসি পারসিয়ানকে জানিয়েছেন এনআরএফের মুখপাত্র ফাহিম দাশতি। লড়াইয়ে তালেবানের ৩৫০ সদস্য নিহত এবং অনেকে আটক হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে এসব দাবি স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।

কাবুল পতনের পর পানশিরে একত্র হচ্ছিলেন তালেবানবিরোধীরা। তাদের নিয়ে গঠন করা এনআরএফ। এই সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আফগানিস্তানের প্রয়াত মুজাহিদিন কমান্ডার শাহ আহমদ মাসউদের ছেলে আহমদ মাসউদ। এনআরএফে পানশিরে স্থানীয় বিদ্রোহীদের পাশাপাশি আফগানিস্তানের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ এবং সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্যরাও রয়েছেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh