৫০ বার জুতাপেটায় ধর্ষণের অভিযোগ মীমাংসা

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:০৭ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মহিলা মাদ্রাসায় এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে কাজী শহিদুর নামের এক কর্মচারীকে ৫০টি জুতার বাড়ি দিয়ে শাস্তি দিয়েছেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

গত ২৪ আগস্ট উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের গোড়াকী কাজীনগর এলাকার দারুল উলুম গোড়াকী মাদ্রাসায় সালিশি বৈঠক করে এ জুতা পেটা করা হয়।

কাজী শহিদুর মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল গফুর সরকার ও ইয়াসিন মিয়ার ভাতিজা।

জানা যায়, মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) ওই মাদ্রাসায় আবাসিকে থাকা উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী দুপুরে তার দুই মেয়েকে দেখতে আসেন। মাদ্রাসার অফিস কক্ষে অপেক্ষা করছিরেন ওই নারী। এ সময় মাদ্রাসার কর্মচারী কাজী শহিদুর ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। পরে তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে শহিদুরকে আটক করেন। আটকের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য বিকেলে সালিশি বৈঠকের আয়োজন করে।

সালিশে ধর্ষক কাজী শহিদুর তার অপরাধের কথা স্বীকার করেন। এ সময় তাকে ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে ৫০টি জুতার বাড়ি দিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর করবেন না বলে মুচলেকা নেয়া হয়।

মওলানা মোতালেব হোসেন নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল গফুর সরকার বর্তমানে পাকিস্তানে বসবাস করছেন। তিনি বেশিরভাগ সময় সেখানেই থাকেন। তার অবর্তমানে মাদ্রাসাটি দেখাশোনা করেন ছোট ভাই ইয়াসিন মিয়া এবং তার পরিবারের লোকজন।

এদিকে ধর্ষণের শাস্তি সালিশি বৈঠকে জুতা পেটা করা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। এলাকাবাসী বলছেন, এই মাদ্রাসায় প্রায় পাঁচ শতাধিক ছাত্রী আবাসিকে থেকে লেখাপড়া করছে। এ ঘটনার পর ওই শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে রয়েছে।

গোড়াকী মাদ্রাসার আরেক প্রতিষ্ঠাতা ইয়াসিন মিয়া জানান, প্রতিষ্ঠানটি রক্ষার কারণে তার ভাতিজাকে সালিশের মাধ্যমে জুতাপেটা করা হয়েছে। একই সাথে তাকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।

মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদের গোড়াকী তিন নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহাদত হোসেন জানান, মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতার ভাতিজা হওয়ায় এবং প্রতিষ্ঠানটির কথা ভেবে বিষয়টি সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করা হয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh