নববধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: এক আসামির স্বীকারোক্তি

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:৫০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার টিক্কা হাওরে স্বামীকে বেঁধে নববধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় মিঠু মিয়া (২৩) নাম এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তিনি উপজেলার মোড়াকরি গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।

হবিগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামি মিঠু মিয়া চাঞ্চল্যকর ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ মামলায় প্রথম কোনো আসামি দায়স্বীকার করেছে।

গত ২৫ আগস্ট উপজেলার মোড়াকরি গ্রামের এক যুবক তার নববধূকে নিয়ে টিক্কা হাওরে ঘুরতে যান। হাওরের মাঝে যাওয়া মাত্রই একই গ্রামের মুছা মিয়ার নেতৃত্বে আট যুবক তাদের নৌকায় উঠে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। পরে নির্জন স্থানে নিয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। বিষয়টি কাউকে জানালে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়। ঘটনার পর স্বামী-স্ত্রী ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখেন। গত বুধবার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বামী।

ঘটনার পর সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে নববধূর স্বামীর কাছে ৯ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আসামিরা। পরে নিরুপায় হয়ে বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলা করেন গৃহবধূর স্বামী। মামলার প্রেক্ষিতে র‌্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে। 

গ্রেফতাররা হলেন- উপজেলার মুড়াকরি গ্রামের ইকবাল হোসেন ছোট্টু মিয়ার ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সোলায়মান হোসেন রনি (২২), একই গ্রামের রুকু মিয়ার ছেলে শুভ মিয়া (১৯) ও ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে মিঠু মিয়া (২৩)।

লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় অন্য আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh