‘বঙ্গবন্ধু’ বইয়ের মেধাস্বত্ব চুরি: মামলার রায় বৃহস্পতিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:২২ পিএম

সুপ্রিম কোর্ট ভবন। ফাইল ছবি

সুপ্রিম কোর্ট ভবন। ফাইল ছবি

বঙ্গবন্ধুর নামের বইয়ের মেধাস্বত্ব চুরি ও গ্রন্থস্বত্ব জালিয়াতির ঘটনায় জারি করা রুলের রায়ের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

এর আগে, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধুর নামের বইয়ের মেধাস্বত্ব চুরি ও গ্রন্থস্বত্ব জালিয়াতির ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবকে প্রধান করে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হককে এ তদন্ত করতে বলা হয়।

একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নামের বইয়ের মেধাস্বত্ব চুরি ও গ্রন্থস্বত্ব জালিয়াতির ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল জারি করেন আদালত। পরে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়।

গত বছরের ৩১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর নামের বইয়ের মেধাস্বত্ব চুরি ও গ্রন্থস্বত্ব জালিয়াতির ঘটনায় একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সিনিয়র রিপোর্টার নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন এ রিট দায়ের করেন।

মুজিববর্ষে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’-এর জন্য যে আটটি বই কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, তার মধ্যে তিনটি বই নিয়েই জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে নাজমুল হোসেন নামে ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে।

‘বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা’ এবং ‘৩০৫৩ দিন’ বই দুটির পাশাপাশি অধ্যাপক নাসরিন আহমদ সম্পাদিত ‘অমর শেখ রাসেল’ বইটিরও মেধাস্বত্ব চুরি করে মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ‘জার্নি মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড’ ও ‘স্বাধীকা পাবলিশার্স’ নামে দুটি প্রকাশনা সংস্থার মালিক নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, অবাক করা বিষয় হলো, এ দুর্নীতি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নামের বই দিয়ে। এটি সহ্য করা যায় না। তিনি এ বই বিক্রি করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের কাছে এবং বইটি ছাড় দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। এই যে নাজমুল হোসেনের নামে প্রায় ২০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ, তা অবশ্যই মন্ত্রণালয়ের লোকজনের সংশ্লিষ্টতা ছাড়া হয়নি।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh