বাজে মন্তব্যকারীদের গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই : অধরা খান

মোহাম্মদ তারেক

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:২৩ এএম

অধরা খান

অধরা খান

এ সময়ের অন্যতম চিত্রনায়িকা অধরা খান। করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন শুটিংয়ে ফেরার। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার ছবি। অধরা জানান, সৈকত নাসিরের ‘বর্ডার’ ছবিটি মুক্তির অপেক্ষায় আছে। প্রথমে প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি দেওয়া হবে। তারপর ওটিটি (ওভার দ্য টপ) প্ল্যাটফর্মে ছবিটি মুক্তির কথাবার্তা চলছে।

ছবিটি কমার্শিয়াল এন্টারটেইনমেন্ট ছবি। করোনাকালেই ছবিটির কাজ করেছি। সাম্প্রতিক সময়ে এ গল্পে কোনো ছবি বানানো হয়নি। কাজটি করে আমি তৃপ্তি পেয়েছি।

আসছে নভেম্বর থেকে ফের শুটিং শুরু করবেন অধরা। তিনি বলেন, অপূর্ব রানার ‘উন্মাদ’ ও ‘গিভ অ্যান্ড টেক’ ছবির শুটিং বাকি আছে। দুটি ছবিরই প্রায় ৪০ ভাগ করে কাজ শেষ হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের জন্য ছবিগুলোর কাজ থেমে যায়। ‘উন্মাদ’ ছবির শুটিংয়ের মাধ্যমে ক্যামেরায় ফিরতে পারি আগামী নভেম্বরে। মাঝে ছবিটির জন্য প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। এরপর অন্য ছবিটির কাজ হবে।

এ দুটি ছবির বাইরে অধরা কাজ করছেন অহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের ‘কোভিড নাইনটিন ইন বাংলাদেশ’ ছবিতে। তার বিপরীতে এ ছবিতে আছেন বাপ্পি চৌধুরী। করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ছবিটির কাজ বন্ধ বলে জানান অধরা। গত বছর করোনার শুরুতে ছবিটির কাজ শুরু হয়।

নবীন এ তারকার তিনটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। এর মধ্যে ইস্পাহানি আরিফ জাহানের ‘নায়ক’ ছবিতে বাপ্পি চৌধুরী, শাহীন সুমনের ‘মাতাল’ ছবিতে সাইমন সাদিক ও একই নির্মাতার ‘পাগলের মতো ভালোবাসি’ ছবিতে অধরার বিপরীতে ছিলেন আসিফ নূর ও সুমিত। মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলোতে অধরার অভিনয় প্রতিভা ও গ্ল্যামারে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শক, যার ফলে তার হাতে আসছে একাধিক ছবি। শিগগিরই নতুন ছবির কথা জানাতে পারবেন বলে আভাস দিয়েছেন এ নায়িকা।

বড় পর্দার বাইরেও সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে ওয়েব প্ল্যাটফর্মে। অধরাকেও দেখা যেতে পারে ওটিটির কোনো ফিকশনে। এ বিষয়ে তিনি জানান, যদি গল্প, চরিত্র ও ইউনিট পছন্দসই হয় তাহলে ওয়েব প্ল্যাটফর্মে কাজ করব। যদিও বড় পর্দায় সিনেমা দেখার মজা মোবাইল ফোনের পর্দায় পাওয়া সম্ভব নয়; কিন্তু প্রযুক্তিকে অস্বীকার করার উপায় নেই। ওটিটির কারণে দর্শকের সিনেমা দেখার সুযোগ বেড়েছে। নানা কারণে হলে গিয়ে সিনেমা দেখা সম্ভব হয় না। সে সিনেমা ওটিটিতে থাকলে দর্শক সহজে দেখে নিতে পারছে। তাই আমি ওয়েব প্ল্যাটফর্মকে ইতিবাচকভাবে নিচ্ছি।

করোনা ও লকডাউন কেমন কাটল জানতে চাইলে অধরা বলেন, শুরুর দিকে বই পড়তাম, ওয়েব সিরিজ ও ফিল্ম দেখতাম। ইয়োগা করতাম। তবে একটা সময়ে এসে দমবন্ধ হতে লাগল। মনে হচ্ছিল কখন এ দুঃসময় পার হব। এখন পরিস্থিতি আস্তেআস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে। গ্রামে গেলে পানিতে নামলেও সাঁতার জানা ছিল না। তাই সময়টিকে কাজে লাগিয়ে সাঁতার শিখছি।

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়াতেও অধরা সক্রিয়। তার ফেসবুক পেজে অনুগামীর সংখ্যা মিলিয়ন ছাড়িয়েছে। নেটাগরিকদের ভালোবাসা যেমন পাচ্ছেন তেমনই দেখেন বাজে মন্তব্য।

তিনি জানান, কোনো প্রকার বুস্টিং ছাড়াই দশ লাখ ফলোয়ার পেয়েছি, যাদের প্রায় নব্বই ভাগেরও বেশি ইতিবাচক মন্তব্য করেন। তবে মাঝে মাঝে নেতিবাচক মানসিকতার নেটাগরিকও পাওয়া যায়। বাংলাদেশে ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে প্রচুর মানুষ বাজে মন্তব্য করে। টুইটারে তা নেই বললেই চলে। যারা নিজের পয়সা ও সময় নষ্ট করে বাজে মন্তব্য করছে, তাদের গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। কারণ যারা ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে তাদের সংখ্যা বেশি। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh