ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০১:৫৬ পিএম
প্রতীকী ছবি
আফগানিস্তানের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯৭ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যেতে পারেন। দেশটির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটকে এখনই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা না হলে অচিরেই তারা এই পরিস্থিতির শিকার হতে পারেন।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক রিপোর্টে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) জানিয়েছে, আফগানিস্তানের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) দুর্নীতির কারণে দেশটিতে দারিদ্র্যের হার ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। আফগান ভূখণ্ডের অর্ধেক জনগোষ্ঠীরই এখন মানবিক সহায়তা প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
আফগানিস্তানে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল দারদারি আলজাজিরাকে জানিয়েছেন, ‘বাজেট নিয়ে সমস্যা রয়েছে, রিজার্ভ নিয়ে সমস্যা রয়েছে। দেশের বাইরে সংরক্ষিত ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারের রিজার্ভ যদি পুরোপুরি আটকে রাখা হয়, তাহলে আফগানিস্তানে বাণিজ্য নিয়েও সমস্যা সৃষ্টি হবে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক; উভয় বাণিজ্যেই সমস্যা হবে।’
তিনি বলেন, ‘কোনো দেশে এই (আফগানিস্তানের মতো) পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ-সহ দ্বিপাক্ষিক ও বহু-পাক্ষিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো জাতিসংঘের সঙ্গে সমন্বয় করে একত্রিত হয় এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের একটি রূপরেখা প্রস্তাব করে। কিন্তু আফগানিস্তানে এমন কিছু হবে না।’
তবে আফগানিস্তানের এই পরিস্থিতি নতুন নয়। গত মাসে দ্রুততার সঙ্গে তালেবান পুরো দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার আগে থেকেই আফগানিস্তান ব্যাপকভাবে বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল। দেশটির মোট জিডিপিতে বিদেশি সাহায্যের অবদান এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি। এই পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে যুক্ত থাকা কর্মীদের কাজের সুযোগ অব্যাহত রাখতে তালেবানের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে জাতিসংঘ।
আল দারদারি বলছেন, ‘সুশীল সমাজ ও স্থানীয় কমিউনিটি সংস্থাগুলোকে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে দিতে হবে। তাদেরকে নিজেদের কাজ বাস্তবায়নের সুযোগ দিতে হবে। আমরা কিছু চাই না। শুধু তাদের কাজে বাধা দেয়া যাবে না।’
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে আফগানিস্তানে মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস। ফলে দেশটিতে জরুরি সহায়তা দেয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি দেশটির মৌলিক সেবাসমূহ ও কর্মকাণ্ড পুরোপুরি ভেঙে পড়ার হুমকিতে রয়েছে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।