পাটের বাম্পার ফলন

এস এম জামাল, কুষ্টিয়া

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৩:১৮ পিএম

কুষ্টিয়ায় চলতি মৌসুমে পাটের বাম্পার ফলন

কুষ্টিয়ায় চলতি মৌসুমে পাটের বাম্পার ফলন

কুষ্টিয়ায় চলতি মৌসুমের শুরুতে কৃষকরা পাটের মূল্য গত বছরের চেয়ে বেশি পাচ্ছেন। ভালো দাম পাওয়ায় এ জেলার ছয় উপজেলার কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক। কয়েকজন কৃষক জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর পাটের দাম বেশি। গত বছর এ সময় প্রতি মণ পাটের দাম ছিল ১ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা; কিন্তু এ বছর শুরুতেই বাজারে প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৯০০ টাকায়। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত বছরের থেকে ৩০ ভাগ বেশি জমিতে পাট চাষ করা হয়েছিল। জমিতে দেশি, রবি-১, মেস্তা, জেআরও এবং তোষা জাতের পাট চাষ করা হয়েছে। তবে উচ্চ ফলনশীল তোষা জাতের পাট চাষ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। 

এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে পাট কাটা, জাগ দেওয়া, পাটকাঠি থেকে পাট ছাড়ানো ও শুকানো নিয়ে ব্যস্তসময় পার করছেন কুষ্টিয়ার চাষিরা। বৃষ্টিতে নদী-নালা, খাল-বিল ও ডোবাতে পানি থাকায় পাট জাগ দেওয়ার কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি তাদের। গত বছরের তুলনায় আবহওয়া অনুকূলে থাকায় পাটের চাষ বেড়েছে। 

মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের ভারোল গ্রামের কৃষক জয়নাল আলী বলেন, গত বছর পাটের মণ ছিল ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা। এবার আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা মন হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া এবার পাটের ফলনও ভালো হয়েছে। এতে আমরাও খুশি। 

দৌলতপুর উপজেলার কৃষক হামিদুল হক বলেন, এ বছর চার বিঘা পাটের চাষ করেছি। বিঘা প্রতি ১২ মণ পাট উৎপাদন হয়েছে। খরচ বাদে ডাবল লাভ হয়েছে। দাম ভালো পাওয়ায় আমরা লাভবান। 

জেলা পাট অধিদপ্তরের মুখ্য কর্মকর্তা সোহরাব উদ্দিন বিশ্বাস জানান, কৃষকদের উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের সহায়তা করা হয়ে থাকে। এ ছাড়াও আমরা নিয়মিত পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবহার নিশ্চিত করতে নিয়মিত তদারকির পাশাপাশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে থাকি। এ ছাড়াও কুষ্টিয়ার খাজানগরে বৃহত্তম চালের মোকাম থাকায় পাটের বস্তা ব্যবহার বাড়ার ফলে এ জেলায় পাট চাষও বাড়ছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh