ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:৫৯ পিএম
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনেটের (বায়ে) সঙ্গে মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসির বৈঠক। ছবি : এএফপি
দীর্ঘ ১০ বছর পর সরকারি সফরে মিশর গেলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসির সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন বেনেট।
গতকাল সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও ফিলিস্তিনের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া। গত ১০ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার সরকারি আমন্ত্রণে মিশর গিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।
বেনেট বলেন, মিশরের প্রেসিডেন্ট ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় সাহায্য করতে পারেন। মিশর বলেছে- তারা আঞ্চলিক সুরক্ষা দৃঢ় করার কাজে সাহায্য করবে।
মিশরের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র বলেছেন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে যেমন আলোচনা হয়েছে, তেমনই শান্তি প্রক্রিয়া নিয়েও কথা হয়েছে।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে শান্তি আলোচনার ক্ষেত্রে অতীতে মিশর সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে। গত মে মাসে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যে সংঘর্ষ বিরতি হয়েছে, সেটাও মিশরের মধ্যস্থতায় হয়েছে।
সিসিকে উদ্ধৃত করে প্রেসিডেন্টের ওয়েবসাইট জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে সামগ্রিক শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মিশর সবসময় কাজ করে যাবে। তারা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের ক্ষেত্রে টু-স্টেট সমাধান চায়। তাহলে এই অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসবে। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়া এখন নানা বাধায় থমকে আছে। এই বৈঠকে সেই বাধা কাটানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
সোমবারই ইসরায়েলের সেনা জানিয়েছিল, ফিলিস্তিন থেকে তিনটি আলাদা লঞ্চার থেকে ইসরায়েলের দিকে রকেট ছোড়া হয়। রকেট হামলার জবাব দিতে ইসরায়েলের সেনাও গাজায় হামাসের বিভিন্ন টার্গেটে আঘাত করে। বিমান থেকে বোমা ফেলা হয়। তবে হতাহতের কোনো খবর নেই।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাপিদ গত রবিবার বলেছেন, তিনি গাজায় পরিকাঠামোর উন্নতি চান এবং সেখানকার মানুষের জীবনধারণের মান বাড়াতে চান। তাহলেই হামাসের সঙ্গে সংঘাত এড়ানো যাবে।
কিন্তু তিনি স্বীকার করেছেন, মিশরের সাহায্য ছাড়া ও সবাইকে সঙ্গে করে না নিয়ে চললে এটা সম্ভব নয়। ২০০৭ থেকে মিশর সীমান্ত বন্ধ করে রাখার ক্ষেত্রে সাহায্য করছে, যাতে হামাসের হাতে বাইরে থেকে অস্ত্রশস্ত্র না আসে।
এদিকে মিশর সফর শেষে বেনেট বলেন, আলোচনায় কূটনীতি, নিরাপত্তা ও অর্থনীতির নানা বিষয় উঠে এসেছে। আমরা এগিয়ে যাওয়ার জন্য একটি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করলাম।
বেনেট ও সিসি মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব এবং লেবাননে আর্থিক সংকট নিয়েও কথা বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় নেতানিয়াহু ২০১০ সালে মিশর গিয়েছিলেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের আমন্ত্রণে শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি মিশর যান। তারপর এবার বেনেট গেলেন। মিশরই প্রথম আরব দেশ, যারা ১৯৭৯ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে সই করে। - ডয়চে ভেলে