জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০২:২৪ পিএম | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০২:২৬ পিএম
ইসলামপুরে মাদ্রাসার ৩ শিক্ষার্থী নিখোঁজ
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার দারুত তাক্বওয়া মহিলা কওমী মাদ্রাসার আবাসিক হল থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির তিন শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার শিক্ষককে আটকের পাশাপাশি মাদ্রাসাটি সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা হলেন- উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের পোড়ারচর সরদারপাড়া গ্রামের মাফেজ শেখের মেয়ে মীম আক্তার (৯), গোয়ালেরচর ইউনিয়নের সভুকুড়া মোল্লাপাড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেনের মেয়ে মনিরা খাতুন (১১) ও সুরুজ্জামানের মেয়ে সূর্য ভানু (১০)।
গত রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোররাত থেকে তারা নিখোঁজ হয়। ঘটনার পরদিন সোমবার বিকেলে মাদ্রাসার মুহতামিম (প্রধান শিক্ষক) মো. আসাদুজ্জামান ইসলামপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিখোঁজ ওই শিক্ষার্থীরা গত শনিবার রাতে মাদ্রাসার আবাসিক কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। রবিবার ভোররাতে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে ডেকে তুলেন। অন্য ছাত্রীদের মতোই নিখোঁজ শিক্ষার্থীরাও নামাজের প্রস্তুতি নেয়। নামাজের পর তাদের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
গোয়ালেরচর ইউনিয়ন বিট পুলিশের তদারকি কর্মকর্তা ও ইসলামপুর থানার এসআই মাহমুদুল হাসান মোড়ল বলেন, দারুত তাক্বওয়া মহিলা মাদ্রাসার মুহতামিম মো. আসাদুজ্জামান নিখোঁজের পরদিন থানায় জিডি করেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
নিখোঁজ মীমের মা হাসিনা বেগম জানান, তার মেয়েকে ১৫দিন আগে মাদ্রাসায় রেখে আসেন। রবিবার দুপুরে মাদ্রাসার হুজুরের মাধ্যমে জানতে পারেন তার মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে।
নিখোঁজ মনিরার বাবা মনোয়ার জানান, তার মেয়েকে ৯ দিন আগে মাদ্রাসায় দিয়ে আসেন।
নিখোঁজ সূর্যের বাবা সুরুজ্জামান জানান, ১৫ দিন আগে তার মেয়েকে মাদ্রাসায় রেখে আসেন।
সন্তানরা নিখোঁজ হওয়ায় অভিভাবকদের চরম শঙ্কার মধ্যে দিন কাটছে। নিজেরাও সম্ভাব্য জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন বলে জানান তারা।
বিষয়ে ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজেদুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের সন্ধান পেতে পুলিশ সার্বিক চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাদ্রাসার মুহতামিম মো. আসাদুজ্জামানসহ চারজন শিক্ষককে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসার পাঠদান আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
অন্য তিন শিক্ষক হলেন- রাবেয়া আক্তার, শুকরিয়া আক্তার ও ইলিয়াস হোসেন।