নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০১:২০ পিএম
ফাইল ছবি
বনানী থানার মাদক মামলায় গ্রেফতার চিত্রনায়িকা পরীমণিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি হাইকোর্ট।
ব্যাখ্যার কিছু হাইকোর্ট আইনজীবীদেরকে পড়ে শোনান। এরপর আদালত শুনানি ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন। এর আগে বুধবার সকালে মামলার নথিসহ (সিডি) তদন্তকারী কর্মকর্তা হাইকোর্টে হাজির হন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু ইয়াহিয়া দুলাল ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান। আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না।
২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ ২ বিচারককে ব্যাখ্যা দিতে এবং তদন্ত কর্মকর্তাকে হাজির হতে নির্দেশ দেন।
২২ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে তার জামিন আবেদন করা হয়। আদালত ১৩ সেপ্টেম্বর জামিন আবেদনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। পরদিন আবেদনটি দ্রুত শুনানির জন্য আরও একটি আবেদন দেন কিন্তু সেটিরও শুনানি হয়নি।
এরপর মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদনের শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে ২৬ আগস্ট ওই আবেদন করেছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। এতে বিলম্বে দিন নির্ধারণ করার বৈধতা চ্যালেঞ্চ করা হয়েছিল। এরপর আদালত রুল জারি করেন এবং শুনানির জন্য ১ সেপ্টেম্বর দিন রাখেন।
এর মধ্যে তিন দফায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বৈধতা নিয়ে ২৯ আগস্ট স্বপ্রণোদিত রুল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক)। ওইদিন আদালত বলেছেন, রুল রিটার্ন হয়ে আসুক, এরপর দেখব।
দুই দিন পর ৩১ আগস্ট মঙ্গলবার শুনানি করে পরীমণিকে জামিন দেন মহানগর দায়রা জজ আদালত। ১ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মু্ক্ত হন।
গত ৪ আগস্ট পরীমণির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দের দাবি করে বাহিনীটি।
পরের দিন পরীমণিকে আটকের কারণ জানানোর পাশাপাশি বনানী থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করে র্যাব। ওই দিনই এই অভিনেত্রীকে আদালতে তোলা হলে প্রথম দফায় চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয়া হয়। পরে আরও দুই দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে।
দ্বিতীয় দফায় পরীমণিকে দুই দিন এবং তৃতীয় দফায় আরও এক দিন তাকে রিমান্ডে পায় পুলিশ। সাত দিনের রিমান্ডে শেষে পরীমণিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আটক রাখা হয়।
৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পরীমণিকে জামিন দেন। জামিন আদেশ কারাগারে পৌঁছালে পরদিন সকালে তিনি কারামুক্ত হয়ে বাসায় ফেরেন।