জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৫:৫৫ পিএম
আটককৃত চার শিক্ষক
জামালপুরের ইসলামপুরে দারুত তাক্বওয়া মহিলা কওমি মাদ্রাসা থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির তিন শিক্ষার্থী নিখোঁজের ঘটনায় অবশেষে থানায় মামলা হয়েছে।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটককৃত চার শিক্ষককে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
এর আগে সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইসলামপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি নথিভুক্ত হয়েছিল। ওই রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষককে আটক করা হয়।
আটক শিক্ষকরা হলেন- মাদ্রাসার মুহতামিম (প্রধান শিক্ষক) মাও. আসাদুজ্জামান, সহকারী শিক্ষক রাবেয়া আক্তার, শুকরিয়া আক্তার ও ইলিয়াস হোসেন।
শিক্ষার্থীদের সন্ধান না পাওয়ায় মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার পর নিখোঁজ মনিরা খাতুনের পিতা মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে আটককৃত চার শিক্ষককে আসামি করে মানবপাচার দমন আইনে মামলা করেন। মামলা নং ১০। এ মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।
এদিকে শিক্ষার্থী নিখোঁজের ঘটনায় মাদ্রাসার আবাসিকের সকল ছাত্রীকে অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করে মাদ্রাসাটিকে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে ইসলামপুর থানার ওসি মো. মাজেদুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থী নিখোঁজের ঘটনায় থানায় জিডি হলে ওই মাদ্রাসায় পুলিশ পাঠাই। মাদ্রাসার পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে ছাত্রীদেরকে তাদের অভিভাবকের হাতে তোলে দেয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২ টার পর নিখোঁজ মনিরা খাতুনের পিতা বাদী হয়ে ওই চার শিক্ষক ও অজ্ঞাতনামা আসামি করে মানবপাচার দমন আইনে মামলা করেন। এ মামলায় ওই চার শিক্ষককে আজ দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়নি বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোরে ফজরের নামাজের পর উপজেলার গোয়ালেরচর ইউনিয়নের বাংলাবাজারে অবস্থিত সভুকড়া দারুত তাক্কুয়া মহিলা কওমি মাদ্রাসা থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির তিন শিক্ষার্থী গাইবান্ধা ইউনিয়নের পোড়ার চর সরদারপাড়া গ্রামের মাফেজ শেখের মেয়ে মিম আক্তার (৯), গোয়ালের চর ইউনিয়নের সভুকড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেনের মেয়ে মনিরা খাতুন (১১) ও দক্ষিণ সভুকুড়া গ্রামের সুরুজ্জামানের মেয়ে সূর্য ভানু (১০) নিখোঁজ হয়।