নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:০১ পিএম
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার আরটি-পিসিআর ল্যাব বসানোর জন্য সাত প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রস্তাব করা সাত প্রতিষ্ঠানকে এ অনুমোদন দেয়া হলো।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সারওয়ার আলম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
প্রতিষ্ঠান সাতটি হলো- স্টেমজ হেলথ কেয়ার (বিডি) লিমিটেড ঢাকা, সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার, এএমজেড হাসপাতাল লিমিটেড, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জয়নুল হক সিকদার ওমেন্স মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, গুলশান ক্লিনিক লিমিটেড ও ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক।
চিঠিতে বলা হয়, স্টেমজ হেলথ কেয়ার তিন দিনের মধ্যে ল্যাব স্থাপন করতে পারবে, তারা নমুনা পরীক্ষার মূল্য নির্ধারণ করেছে দুই হাজার টাকা। সিএসবিএফ হেলথ সেন্টারের ল্যাব স্থাপনে সময় লাগবে পাঁচ দিন, নমুনা পরীক্ষার খরচ নেবে এক হাজার ৮৫০ টাকা। এএমজেড হাসপাতাল পাঁচ দিনে ল্যাব স্থাপন করতে পারবে, নমুনা পরীক্ষায় খরচ নেবে এক হাজার ৮০০ টাকা। আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চার দিনে ল্যাব স্থাপন করতে পারবে, তারা নমুনা পরীক্ষার খরচ দেখিয়েছে ২ হাজার টাকা। জয়নুল হক সিকদার ওমেন্স মেডিক্যাল কলেজ ল্যাব স্থাপনে ছয় দিন ল্যাব স্থাপন করতে পারবে, তারা খরচ চেয়েছে এক হাজার ৭০০ টাকা। পাঁচ দিনে ল্যাব স্থাপন করতে পারবে বলে জানিয়েছে গুলশান ক্লিনিক, তারা নমুনা পরীক্ষার খরচ এক হাজার ৭৫০ টাকা এবং ডিএমএফআর ল্যাব স্থাপন করতে সময় চেয়েছে চার দিন, তারা নমুনা পরীক্ষার খরচ দুই হাজার ৩০০ টাকা চেয়েছে।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, সাতটি নির্বাচিত ল্যাবকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিউরের (এসওপি) আলোকে ল্যাব স্থাপনের প্রয়োজনীয় স্থান বরাদ্দসহ আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চেয়ারম্যান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, ঢাকা-কে এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি-বিধান প্রতিপালনের শর্তাদির আলোকে উপযুক্ত ল্যাবসমূহের অনুকূলে শুরুর নির্দেশ জারি করার জন্য মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদফতরকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
উড়োজাহাজে চড়ার কমপক্ষে ৬ ঘণ্টা আগে করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ সনদের বাধ্যবাধকতার কারণে গত ১৩ মে থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন না বাংলাদেশিরা। দেশে ছুটিতে এসে আটকেপড়া কর্মীরা কর্মস্থলে ফিরতে রাস্তায় কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে।
সোমবার প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামনে অনশন করে সংযুক্ত আরব আমিরাতগামীরা। কিন্তু কোনো আশ্বাস না পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করে সেখানেই অনশন শুরু করে তারা। পরে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদের আশ্বাসে তারা ফিরে যান।
গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে করোনার র্যাপিড পিসিআর টেস্টের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেন। সেদিন মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে দুই-তিন দিনের মধ্যে বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপনের নির্দেশ দেয়া হয়।
এদিকে যে সাত প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে প্রথম দুই প্রতিষ্ঠানকে বিদেশগামীদের করোনা টেস্টের ভুয়া সনদ দেয়ার অভিযোগে কার্যক্রম স্থগিত করেছিল।