সংসদে বিল পাস

টাকা দিয়ে মিলবে সরকারের আরকাইভস তথ্য

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০১:২০ পিএম

জাতীয় সংসদ অধিবেশন। ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদ অধিবেশন। ফাইল ছবি

নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে জাতীয় আরকাইভস থেকে তথ্য পাওয়া যাবে। সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।

ন্যাশানাল আর্কাইভস অধ্যাদেশ রহিত করে নতুন করে বিস্তারিত বিধি-বিধান সংযোজন করে জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের জাতীয় আর্কাইভস বিল-২০২১ সংশোধিত আকারে পাস হয়েছে।

বিলে আর্কাইভস প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম, উপদেষ্টা পরিষদ গঠন, এর কার্যাবলী, মহাপরিচালক নিয়োগ ও তার  ক্ষমতা, দায়িত্ব, ক্ষমতা অর্পণ, সংরক্ষণের জন্য সরকারি রেকর্ড নির্বাচন, রেকর্ডে জনগণের অভিগম্যতা, দেশ থেকে পাণ্ডুলিপি, দলিল দস্তাবেজ বিদেশে প্রেরণের ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ, সরকারি ও ব্যক্তিগত রেকর্ড আর্কাইভসে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য জমা রাখা, বার্ষিক প্রতিবেদন, অপরাধ ও দণ্ড, বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা এবং তফসিল সংশোধনের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক, পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বিএনপির হারুনুুর রশীদ, মোশাররফ হোসেন, রুমীন ফারহানা এবং স্বতন্ত্র সদস্য রেজাউল করিম বাবলু বিলের ওপর জনমত যাচাই বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে একটি সংশোধন গ্রহণ করা হয়। বাকি প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

জাতীয় আরকাইভস পরিচালনার জন্য ১৯৮৩ সালের একটি অধ্যাদেশ রয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে সামরিক শাসন আমলে প্রণীত যেসব আইন বা অধ্যাদেশের এখনও প্রয়োজন রয়েছে, সেগুলোকে পরিমার্জন করে বাংলায় রূপান্তরের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেজন্য বিলটি আনা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, জাতীয় আরকাইভস পরিচালনায় একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে। এখানে একজন মহাপরিচালক থাকবেন। অধ্যাদেশে এই মহাপরিচালকের পদটি ছিল না।

বিদ্যমান আইনে রেকর্ড বিনষ্ট করার যে বিধান ছিল, খসড়া আইনে তা বাদ দেওয়া হয়েছে।

গবেষক ও তথ্য সেবা গ্রহীতাদের অনলাইন ডিজিটাল সেবা দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে বিলে। ফি দিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলে গোপন কোনো দলিল না হলে, তা সরবরাহ করার বিধান রাখা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, সরকারি রেকর্ড আর্কাইভসে থাকতে হলে, তা ২৫ বছর বা তার বেশি পুরনো হতে হবে। ব্যক্তিগত রেকর্ডও আরকাইভসে রাখা যাবে।

ঐতিহাসিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, কিংবা সাংস্কৃতিক তাৎপর্য রয়েছে এমন ৩০ বছর বা তার বেশি পুরনো ব্যক্তিগত রেকর্ড আরকাইভসে সংরক্ষণ করা যাবে।

বিলে বলা হয়েছে, আরকাইভসে রক্ষিত রেকর্ড চুরি, নষ্ট বা হ্যাক করলে তিন বছরের জেল এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। রেকর্ড পাচার করলে পাঁচ বছরের জেল এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

খসড়া আইনে রেকর্ডের সফট কপি করার বিধান রাখা হয়েছে, আগের আইনে যা ছিল না।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh