নদী ভাঙনে সদর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন চৌহালী

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৩:৪১ পিএম

যমুনা নদীর ভাঙন

যমুনা নদীর ভাঙন

যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করায় ভাঙন শুরু হয়েছে সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে। এরমধ্যে ভেসে গেছে প্রায় ২০০ বাড়িঘর ও ফসলি জমি। হুমকির মুখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। তাই ভাঙন বিধ্বস্ত উপজেলার বাকি অংশটুকু রক্ষার জোর দাবি জানিয়েছে সেখানের এলাকাবাসী।

সিরাজগঞ্জ জেলার মানচিত্রে চৌহালীর স্থান থাকলেও দুর্গম যাতায়াত ব্যবস্থা আর দফায় দফায় নদী ভাঙনের জন্য জেলা সদর থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন। 

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু হওয়ায় চৌহালী উপজেলা দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। এতে বিলীন হচ্ছে বসতভিটে থেকে শুরু করে ফসলে ক্ষেতও।

প্রতি বছরের মত চলতি বছর বন্যায় গত সাতদিনে উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলের খাসপুখুরিয়া থেকে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের তিন কিলোমিটার অঞ্চলে প্রায় ২০০টি বসতবাড়ি ও একটি কমিউনিটি ক্লিনিক নদীতে হারিয়ে গেছে। 


এছাড়া তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে রেহাই পুখুরিয়া পশ্চিমপাড়া, মিটুয়ানী, চর বিনানই ও চর সলিমাবাদ এলাকায়। হুমকির মুখে ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন।

ভাঙন রোধে সেখানে মানববন্ধনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে জানানো হলেও মিলছে না স্থায়ী কোনো প্রতিকার। তাই স্থানীয়দের জোর দাবি ভাঙন রোধে চাই স্থায়ী বাঁধ।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, নদী ভাঙন রোধে উপজেলার কয়েটি এলাকায় কাজ চলমান রয়েছে। 

আলজ্বাজ আব্দুল মমিন মন্ডল জানান, এ অঞ্চলে নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণসহ নানা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। বর্ষা চলে গেলে অনেক স্থানে কাজ শুরু হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh