প্রেমিকাকে বাড়িতে ডেকে হত্যার পর প্রেমিকের ‘আত্মহত্যা’

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় সাতানিপাড়া এলাকায় প্রেমিকের বাড়ি থেকে প্রেমিক-প্রেমিকার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের পাশ থেকে রক্তমাখা একটি ছুরিও উদ্ধার করা হয়।

গতকাল বুধবার (৬ অক্টোবর) রাতে রক্তাক্ত মরদেহ দুইটি উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন- কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের সাতানীপাড়া গ্রামের এনজিও কর্মী হৃদয় গমেজ (২৫) ও একই উপজেলার বান্দাখোলা গ্রামের নার্সিংয়ের শিক্ষার্থী ইভানা রোজারিও (২২)।

পুলিশ জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে কোনও বিরোধের কারণে বাড়ির লোকজনের অনুপস্থিতির সুযোগে প্রেমিকা ইভানাকে ঘরে ডেকে এনে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে হদয়। পরে নিজের পেটে ছুরিকাঘাত করে হৃদয় আত্মহত্যা করে। বাইরের লোকজন যাতে কোনো শব্দ শুনতে না পায় সেজন্য ঘরের দরজা আটকিয়ে জোরে গান ছাড়া ছিল। 

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিসুর রহমার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হৃদয় ও ইভানার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গতকাল সকালে হৃদয়ের মা স্থানীয় ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসে যান জমি রেজিস্ট্রি করতে। বাড়ি ফাঁকা পেয়ে ডেকে আনেন ইভানাকে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে হৃদয়ের মা বাড়ি ফিরে এসে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ পান। পরে জানালা দিয়ে দেখেন ঘরের মেঝেতে দুইজনের মরদেহ পড়ে আছে। পরে হৃদয়ের মায়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপতালে প্রেরণ করে। 

তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে দেয়াল টপকে ঘরে প্রবেশ করে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করি। এ সময় হৃদয়ের পেটে ছুরিকাঘাত ও হাতে ছুরি ছিল এবং ইভানার গলায় ছুরিকাঘাত ছিল। ঘরের মেঝেতে প্রেমিকার উপর প্রেমিকের মরদেহ পরে ছিল। 

ওসি আনিসুর আরও বলেন, দুটি মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।