টাক মাথায় পরচুলা লাগানো নিয়ে ইসলামের বিধান

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২১, ১১:৫৩ এএম | আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২১, ১১:৫৬ এএম

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

ইসলাম আমাদের শরীরে আল্লাহপ্রদত্ত সৌন্দর্যের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ করতে নিষেধ করেছে। এটি আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করার শামিল, যাকে ইসলামি শরিয়ত শয়তানি কর্মকাণ্ড বলে আখ্যা দিয়েছে।

টাক মাথায় কৃত্রিম বা পরচুলা লাগানো জায়েজ নয়। কেননা, হাদিস শরিফে এসেছে-‘আসমা বিনতে আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, যে কৃত্রিম চুল লাগিয়ে দিতে বলে এবং যে লাগায়, দুইজনের ওপর আল্লাহর রাসুল (সা.) লানত ও অভিসম্পাত করেছেন।’ (নাসায়ি শরিফ, হাদিস: ৯৩৭৪)

টাক মাথায় পরচুলা বা কৃত্রিম চুল প্রতিস্থাপন করা আল্লাহর সৃষ্টিতে অপ্রয়োজনে হস্তক্ষেপের সামিল। যা ইসলামে নিষিদ্ধ।

তবে আসল চুল যদি কেউ এমনভাবে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট বা চুল প্রতিস্থাপন করে, যাতে তা নিয়মিতভাবে গজানো স্বাভাবিক চুলে পরিণত হয়, সেক্ষেত্রে তা জায়েজ আছে। কারণ এটি মানুষের শরীরে কিডনি, চোখ বা হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপনের মতো। তবে এক্ষেত্রে চুল প্রতিস্থাপনের পেছনে জরুরি কোনো কারণ থাকতে হবে। যেমন- কোনো ব্যক্তির টাক থাকায় তিনি সামাজিকভাবে অথবা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অবজ্ঞার স্বীকার হচ্ছেন কিংবা তাকে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। আবার প্রতারণার উদ্দেশ্যে আসল চুল লাগালেও সেটা জায়েজ হবে না।

কৃত্রিম চুল দিয়ে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করার বিষয়টি ভিন্ন। কারণ কৃত্রিম চুল দিয়ে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করলে এটি মানুষের প্রাকৃতিক তথা আসল চুলের অংশে পরিণত হয় না।  তাই এর অনুমতি নেই শরিয়তে।

উল্লেখ্য, প্রাকৃতিকভাবে মাথার চুল গজানো কিংবা চুল বড় করার জন্য যেকোনো চিকিৎসা বা ওষুধ নিতে কোনো সমস্যা নেই।  চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে অথবা শারীরিক শক্তিবৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ওষুধ নেওয়া যেমন জায়েজ আছে তদ্রূপ এটিরও অনুমতি রয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh