তারুণ্যের কবিতা

আবার প্রণয়

চঞ্চল নাঈম

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২১, ১২:৪৩ পিএম | আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২১, ০৩:৪২ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

ক.

বিষণ্ণ আঁধারে চারিদিক ঝরে ছায়ার ভূমিকা। গ্লানিময় প্রেম চক্রাকরে নৈর্ব্যক্তিক পরস্পর। একসাথে ঘুম জাগে নাগরিক বিষয় বিস্তৃত। ঝিরিঝিরি শান্ত নিঝুম নৈশব্দ মৃত্যুর নিভৃতে, অবিরত মমতায় বুঝি কিছু পিপাসা-আকুল। জোছনার শীতল হৃদয় স্যাঁতসেঁতে শ্যাওলায়, ঘুরে ঘুরে পরিস্ফুট কখনো বা অবসরহীন। প্রাকৃতিক জ্বর চতুর্দিক প্রত্যুত্তরে পরস্পর। শরীরের হাড় কঙ্কালে প্রবল যেন ব্যথা জাগে। অজস্র শস্যের অক্টোপাস করে নিসর্গ জিকির। প্রত্যহ রাতের শিরা-উপশিরা সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম শব্দে, বিষাদের পরিচিত কোনো প্রশ্নে লুকায় নিবিড়। প্রণয় অসুখে পোড়ে সময়ের ঘুমন্ত উদ্ভিদ। মুকুলের অসংখ্য ধাঁধায় ঘূর্ণ্যমান জাগতিক।

খ.

মাতাল ফুলের নিঃসঙ্গ বাতাসে কিছু দুঃখ ধু ধু। সারি সারি রাতজাগা মৃত্যু জমে, সূক্ষ্ম কী দারুণ। বেদনার ভাইরাসে শুধু ভয়, নীরবতা আসে। জল ছুঁয়ে সুপ্ত ভাসে সন্ধ্যার সমগ্র দেহমন। সাধনার রক্তফুল ফুটে থাকে পরাগ সংস্পর্শে। বৈদ্যুতিক তারে ঝুলে থাকে যেন অসংখ্য বাদুড়। সহসা কেবল প্রশ্নহীন, কর্মহীন, মন্ত্রহীন। মুহূর্তই মৌনতার রস সহসা মৌমাছি চুষে খায়। অবিরাম আঁধারে জড়ায় সময়ের ঘুমগুলো। বারোমাস দুঃখে কিছু কী যে, কেন খুব বেশী বাড়ে? ব্যস্ততম রাত্রির তীক্ষ্মতা একা অনুভব করি। মন থেকে নিরুপায় মুছে ফেলি হাড়ের যন্ত্রণা। নিবিড় বাতাসে কাঁচাপাকা ফুলের সৌরভ খুঁজি। স্বপ্নে দেখি চাঁদের ঐক্যতা নিঃশ্বাসের চিরহরিৎ।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh