শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় চির নিদ্রায় ড. ইনামুল হক

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২১, ০৩:৫৯ পিএম | আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২১, ০৪:০৪ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেণ্য এই অভিনেতা গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টার সময় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নিজ বাসায় হঠাৎ করেই তার এই মৃত্যুতে গভীর শোকাহত দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষ। আজ ১২ অক্টোবর বাদজোহর তার জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফনকাজ সম্পন্ন হয়।

তার মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আরও শোক জানিয়েছেন তার দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা। বনানীতে তাকে সমহিত করার সময়ে শেষ দেখা দেখতে গিয়েছিলেন সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেক মানুষ। সেখানে গিয়ে অঝোরে কেঁদেছেন অনেকে। বিশেষ করে দীর্ঘ ৫৫ বছরের বন্ধু আবুল হায়াত ও তার আরও অনেক সহকর্মী।

এর আগে দীর্ঘ বছর ধরে একসঙ্গে কাজ করা অভিনয় শিল্পীরা গিয়েছিলেন তার বাসায়। মৃত্যুর পর প্রথম জানাজা ইতোমধ্যেই তার বাসায় স্বল্প পরিসরে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় শিল্পকলা একাডেমিতে। সেখানে জানাজা শেষে তাকে আবারও নিজ বাসায় নিয়ে আসা হয়।

এ প্রসঙ্গে শিল্পকলার মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘ সময়ের পথচলা একসঙ্গে। শিল্পের মানুষ ছিলেন তিনি। তাই শিল্পকলার পক্ষ থেকে তাকে গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। যতটুকু সম্ভব তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে।’

১২ অক্টোবর সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এরপর তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাদজোহর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয় এই কিংবদন্তিকে। অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক ও অভিনেতা আহসান হাবীব নাসিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নাট্যাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য ড. ইনামুল হক ‘একুশে পদক ২০১২’ ও ২০১৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তার পুরো পরিবারই নাটকের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। তার স্ত্রী লাকী ইনামও নাট্যজগতের মানুষ। তাদের সংসারে দুই মেয়ে হৃদি হক ও প্রৈতি হক। দুই জামাতা অভিনেতা লিটু আনাম ও সাজু খাদেম। তারাও শিল্পী সংস্কৃতির মানুষ।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh