যেসব শিক্ষকদের এমপিও কাটার নির্দেশ দিল সরকার

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২১, ০৪:৩৬ পিএম | আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২১, ০৪:৩৮ পিএম

বাংলাদেশ সরকার

বাংলাদেশ সরকার

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসি) দ্বিতীয় ধাপের শিক্ষক নিয়োগে শূন্যপদের ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে রংপুর বিভাগের ২৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের তিন মাসের এমপিও কেটে রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।  

বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রোকসানা বেগম।

তিনি জানান, সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরকে অভিযুক্তদের এমপিও কেটে রাখার নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এনটিআরসির দ্বিতীয় ধাপের শিক্ষক নিয়োগে শূন্যপদের ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে এ নির্দেশনা।

জানা গেছে, ৫ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিভাগের উপসচিব কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত এক পত্রে রংপুর বিভাগের ২৯টিসহ সারাদেশের ১৩১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের তিন মাসের এমপিও কেটে রাখার নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করা হয়।

নির্দেশনায় থাকা প্রতিষ্ঠান প্রধানরা হলেন-রংপুর নগরের উত্তম স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, সাহেবগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান, বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হাই, মৌয়াগাছ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বকুল চন্দ্র রায়, কুতুবপুর অরুণনেছা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক আহম্মেদ হোসেন শাহ, পীরগঞ্জ উপজেলার লালদিঘি গার্লস একাডেমির প্রধান শিক্ষক আবু ইমাম মো. রাশেদুন্নবী, ইকলিমপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুল ইসলাম মন্ডল, পার্বতীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন, মিঠাপুকুর উপজেলার সেরুডাঙ্গা স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ হাসান জাহাঙ্গীর আলম।কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার শিবেরডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলী, ভুরুঙ্গামারী উপজেলার শিলখুড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম, একই উপজেলার পাথরডুবী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাসেম, উলিপুর উপজেলার গোড়াই রঘুরায় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ বর্মন, রাজারহাট উপজেলার সিংগারডাবরীহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ আরিফুল ইসলাম সরকার, সুখদেব গার্লস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুব রশীদ।দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রাণীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আক্তারুজ্জামান, নবাবগঞ্জ উপজেলার পত্নীচান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান, পাবর্তীপুর উপজেলার সেরাজুল হুদা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তারিকুল ইসলাম।গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী বন্দর গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান সরকার, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মাহমুদবাগ ইসলামিয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ ও লালমনিরহাটের হাতীবান্দা উপজেলার মমিতন নেছা জুনিয়র বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আশরাফ আলী। নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার খালিশা বেলপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, লক্ষীমপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন, কিশোরগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডী হাইস্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মুকুল হোসেন, কিশোরগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম আজম, নীলফামারী সদরের পঞ্চপুকুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান, ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভবেশ চন্দ্র রায়, পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলাম ও পঞ্চগড় সদরের দেওয়ানহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অশোর কুমার দত্ত।

মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যে, ২০১৮ সালের ১২ জুন জারি হওয়া এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোতে কিছু নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়। বিধান ছিল এসব পদে নিয়োগে মন্ত্রণালয় আলাদা আদেশ জারি করবে। এ পদগুলো নবসৃষ্ট পদ নামে পরিচিত। কিন্তু আদেশ জারির আগেই দ্বিতীয় ধাপে শিক্ষক নিয়োগের চাহিদা হিসেবে সে পদগুলোকে শূন্য দেখিয়েছিলেন ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানেরা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh