নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২১, ১০:৫৯ এএম
ফাইল ছবি
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপর স্তরভিত্তিক শিখন জ্ঞান যাচাই করে নেয়া হবে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা। এর ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে পরবর্তী ক্লাসে তোলা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
অধিদপ্তর বলেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয় সাধারণত বছরে তিনটি পরীক্ষা নেয়া হয়। এর মধ্যে এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে প্রথম সাময়িক, আগস্টে দ্বিতীয় সাময়িক, নভেম্বরে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা ও অন্য স্তরে বার্ষিক পরীক্ষা আয়োজন করা হয়। এসব পরীক্ষার ওপর মূল্যায়ন করে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ ও রোল নম্বর নির্ধারণ করা হয়।
তবে এ বছর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) ও ইবতেদায়ী পরীক্ষা বাতিল হতে পারে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মুনসুরুল আলম বলেন, বর্তমানে শিক্ষার্থীদের ক্লাসভিত্তিক শিখন জ্ঞান অর্জনে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস পড়ানো হবে। স্তর অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা শিখতে সক্ষম হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করতে আমরা ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষা নেব। তবে বার্ষিক পরীক্ষা আয়োজন করার বিষয়ে মাঠ কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের এখনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। কিছুদিনের মধ্যে এ নির্দেশনা পাঠানো হবে। পরীক্ষা আয়োজনসহ সবকিছু করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।
করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সশরীরে ক্লাস শুরু হয়েছে। চলতি বছরের তিন মাস কেন্দ্র করে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস পড়ানো হচ্ছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
ক্লাস অনুযায়ী যতটুকু জ্ঞান অর্জন জরুরি তার ওপর ভিত্তি করে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। সেটি পড়ানোর পর দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে।