ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২১, ০১:৪৬ পিএম | আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২১, ০১:৫২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
নিজেদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফকে অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রদান করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকার তিনটি রাজ্যে সীমানার ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত গ্রেফতার, তল্লাশি ও জব্দ করার ক্ষমতা পেল তারা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক সিদ্ধান্তে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়- সীমান্ত এলাকা জুড়ে ড্রোনে করে অস্ত্র টানার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় বিএসএফের আওতাধীন এলাকা বাড়ানো হয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, বিএসএফ কর্মকর্তারা পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও আসামে গ্রেফতার ও তল্লাশি অভিযান চালাতে পারবে। এসব অভিযান চালাতে কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (সিআরপিসি), পাসপোর্ট আইন ও ভারতে প্রবেশের আইন প্রয়োগ করতে পারবে।
আসাম, পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাবে রাজ্য ভারত-পাকিস্তান ও ভারত-বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার অভ্যন্তর পর্যন্ত এসব অভিযান চালাতে পারবে বিএসএফ। অনেকটা পুলিশের মতোই তল্লাশি চালাতে পারবে তারা।
এর আগে এই আওতা ছিল ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। এর পাশাপাশি বিএসএফ নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, ত্রিপুরা, মনিপুর ও লাদাখে তল্লাশি ও গ্রেফতার অভিযান চালাতে পারবে বলে জানা গেছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দিল্লির এই সিদ্ধান্তে তাৎক্ষণিকভাবে রাজ্যগুলোর স্বায়ত্তশাসন নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
ভারতের এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা নতুন এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে জানান, এটি রাজনৈতিকভাবে খুবই স্পর্শকাতর একটি পদক্ষেপ। বিএসএফের প্রধান লক্ষ্য সীমান্ত পাহারা ও অনুপ্রবেশ ঠেকানো। তবে বেশকিছু ঘটনায় দেখা গেছে তারা লাইন পাহারা দিতে সক্ষম নয়। নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে স্থানীয় পুলিশ, গ্রামবাসীদের সঙ্গে বিএসএফের নিয়মিত বিরোধ তৈরি হবে।
অপরদিকে গুজরাট রাজ্যের সীমান্তে বিএসএফ ক্ষমতা কমানো হয়েছে। রাজ্যর ভেতরে তল্লাশি ও গ্রেফতারের ক্ষমতা এখন ৫০ কিলোমিটারের নামিয়ে আনা হয়েছে। আগে সেটা ছিল ৮০ কিলোমিটার। আর রাজস্থানে ৫০ কিলোমিটারই আছে।