সবচেয়ে বেশি কার্যকর মডার্নার বুস্টার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২১, ১১:০৮ পিএম

মডার্না

মডার্না

এক ডোজের করোনা টিকা জনসন অ্যান্ড জনসনের ডোজ যারা নিয়েছেন, তাদের দেহে করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি সর্বোচ্চ মাত্রায় বাড়াতে সক্ষম মডার্নার বুস্টার ডোজ। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, কোন করোনা টিকার বুস্টার ডোজে মানবদেহে কী পরিমাণ অ্যান্টিবডির উপস্থিতি থাকে তা জানতে সম্প্রতি এই গবেষণা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বায়োমেডিকেল ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সরকারি গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল হেলথ ইনস্টিটিউট (এনএইচআই)। গবেষণায় অংশ নিয়েছেন ৪৫৮ জন স্বেচ্ছাসেবী।

যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ বিষয়ক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) দেশটির টিকাদান কর্মসূচির জন্য তিনটি করোনা টিকার অনুমোদন দিয়েছে- ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসন। তবে জনসনের টিকা নেওয়ার পর কয়েকজন ব্যক্তি রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার মতো সমস্যার মুখে পড়ায় আপাতত কর্মসূচিতে ব্যবহার হচ্ছে না এই টিকা।

গবেষণায় যে ৪৫৮ জন স্বেচ্ছাসেবী অংশ নিয়েছেন, তারা সবাই কমপক্ষে ১২ সপ্তাহ আগে অনুমোদিত ৩ টিকার যে কোনো একটির ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন।

তিনটি দলে ভাগ করা হয় স্বেচ্ছাসেবীদের। তারপর বুস্টার ডোজ হিসেবে প্রথম দলকে ফাইজার, দ্বিতীয় দলকে মডার্না ও তৃতীয় দলকে জনসনের টিকা দেন গবেষকরা। ১৫ দিন পর তাদের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হয়।

পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, যারা জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা নিয়েছেন, একই ধরনের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার পর করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি চার গুণ বেড়েছে তাদের দেহে। ফাইজারের টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়া ব্যক্তিদের অ্যান্টিবডি বেড়েছে ৩৫ গুণ; আর মডার্নার টিকার বুস্টার ডোজ গ্রহণকারী ব্যক্তিদের অ্যান্টিবডি বেড়েছে ৭৬ গুণ।

বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর কারও শরীরে বড় ধরনের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলেও জানানো হয়েছে গবেষণা প্রতিবেদনে।

তবে এই গবেষণা প্রতিবেদন এখনও পিআর রিভিউ পর্যায়ে যায়নি। তাছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে গবেষণাটির।

তারা বলছেন, প্রথমত- এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ছিল কম। দ্বিতীয়ত- গবেষণায় ১৫ দিন ধরে অংশগ্রহণকারীদের পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে; কিন্তু তারপর রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও কমেও যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টন শহরের বেলক কলেজ অব মেডিসিনের অধ্যাপক পিটার হোটেজ এ বিষয়ক এক টুইটবার্তায় বলেন, ‘গবেষণায় প্রাপ্ত কিছু তথ্য, যেমন- জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার বুস্টার ডোজের পর অ্যান্টিবডি উপস্থিতির যে হিসেব দেওয়া হয়েছে, তা সত্যিই চমৎকার।’

‘তবে সংক্ষিপ্ত পরিসরে পরিচালিত এই গবেষণার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বড় কোনো সিদ্ধান্তে না আসাই ভালো।’


সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh