বন্যা ও ধসে কেরালা রাজ্যে মৃত্যু ১৮ জনের

প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২১, ০১:১৯ পিএম

কেরালা রাজ্যে অতিবৃষ্টিতে ধস নামে। ছবি : টুইটার

কেরালা রাজ্যে অতিবৃষ্টিতে ধস নামে। ছবি : টুইটার

বন্যাকবলিত ভারতের কেরালা রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে বহু মানুষ। উদ্ধারের কাজে নেমেছে দেশটির জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও সেনাবাহিনী।

কেরালার একাধিক জেলায় প্রবল বৃষ্টি চলছে। যার জেরে জলমগ্ন বহু এলাকা। এর সাথে যোগ হয়েছে ভূমিধস। গতকাল শনিবার (১৬ অক্টোবর) রাতেই কোট্টায়াম জেলার কোট্টিকল এলাকায় বৃষ্টি পরবর্তী ধসে ছয়জনের মৃত্যুও হয়। 

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, আজ রবিবার (১৭ অক্টোবর) সকালে সেখান থেকে আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। যার জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ জনে। এখনও নিখোঁজ আরও ১২ জন। অন্যান্য জেলা থেকে আরও ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮ জনে। যদিও সরকারি তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, দক্ষিণের এই রাজ্যের ছয় জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আরব সাগরের দক্ষিণ-পূর্বে কেরালা উপকূলে অবস্থান করছে একটি নিম্নচাপ। আর তার জেরেই চলছে বৃষ্টিপাত। রবিবার পর্যন্ত অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। 

এদিন মৌসম ভবন জানিয়েছে, নিম্নচাপের তীব্রতা কমেছে। সোমবার থেকে বৃষ্টি কমবে। আপাতত পাঁচটি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা ছাড়াও দুই জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে। আরও সাতটি জেলায় জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা।

শনিবারই রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। আজও ফের বৈঠকে বসেছে মন্ত্রিসভা। চলছে উদ্ধারকার্যও। ইতিমধ্যে এনডিআরএফের ১১টি দল, সেনার দুইটি দল ও ডিফেন্স কর্পের আরও দু’টি দল নেমেছে উদ্ধারকার্যে।

বৃষ্টি থেকে হওয়া ধসে কেরালায় যে সব দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেছে, সেগুলো মূলত কোট্টায়াম ও ইদ্দুকি জেলার। এই দুই জেলা ও পথনমথিট্টার পাহাড়ি এলাকাগুরোতেই বন্যা হয়েছে ও ধস নেমেছে সবচেয়ে বেশি। 

কেরালার বেশ কিছু নদীও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। কোট্টায়াম ও ইদ্দুকি জেলায় একটি নদী প্লাবিত হয়ে বেশ কয়েকটি গ্রাম ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। এর উপর রবিবার বাঁধের পানি ছাড়ার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছে কেরালা প্রশাসন। বেশ কয়েকটি বাঁধের ধারণ ক্ষমতা অতিক্রম করে যাওয়ায় পানি ছাড়া হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে আগামী দুইদিনে বৃষ্টি কমলেও বন্যা পরিস্থিতি কমার কোনও সম্ভাবনা নেই।

পরিস্থিতি সামলাতে নদী ও উপকূল এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বাসিন্দাদের। - সংবাদ প্রতিদিন ও আনন্দবাজার পত্রিকা

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh