ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২১, ০৫:২৫ পিএম | আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২১, ০৯:৪৬ এএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

অর্থনৈতিক ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প বাতিলের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যার ফলে পিপিপিতে হচ্ছে না ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে। 

রবিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক সংক্রান্ত এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এখানে ১০০ কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে, তারপর এটি বাতিল হলো কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্ন করেন মো. সামসুল আরেফিনকে।

জবাবে তিনি বলেন, ‘ওটা একটা ফিজিবিলিটি স্টাডি ছিল। সেজন্য টাকাটা গচ্চা  যায়নি। খরচ হওয়া টাকাটা গচ্চা থেকে বাঁচিয়েছে। যেকোনো কাজের তো ফিজিবিলিটি স্টাডি করতে হবে। এই টাকা জিওবির হয়। এটি নিয়ে আজকের সভায়ও আলোচনা হয়েছে, সেখানে বলা হয় ফিজিবালিটি স্টাডি হয়েছে। যেহেতু জাতীয় মহাসড়কগুলো চার লেনে উন্নীত করা হবে এবং পাশে সার্ভিস লাইন নির্মাণ করা হবে। সারাদেশব্যাপী এটা হচ্ছে। সরকার এটি করবে, এটাই হচ্ছে মূল সিদ্ধান্ত। এটা পিপিপিতে হওয়ার কথা ছিল। এখন পিপিপিতে হচ্ছে না, তবে সেখানে চার লেনের মহাসড়ক হবে এটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’

সামসুল আরেফিন জানান, হাতিরঝিল-রামপুরা সেতু-বনশ্রী-শেখের জায়গা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক (চিটাগাং রোড মোড় এবং তারাবো লিংক মহাসড়কসহ) পিপিপি ভিত্তিতে ফোরলেনে উন্নীতকরণের প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

প্রত্যাহার হওয়া প্রস্তাবটিতে বলা হয়, রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক ৪-লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে বাস্তবায়নে ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিইএ) সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়। পিপিপি ভিত্তিতে বিনিয়োগকারী চায়না কমিউনিকেশনস কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এবং চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনকে (সিআরবিসি) নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর সিসিইএ সভায় উপস্থাপন করা হলে আরও কিছু তথ্য-উপাত্তসহ স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রস্তাব পাঠানোর সুপারিশ করা হয়।

সে অনুসারে চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি সিসিইএ সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে পিপিপি চুক্তিটি কর্তৃপক্ষকে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য নির্দেশনা দেন। পিপিপি কর্তৃপক্ষের মতামত এবং সার্বিক দিক বিবেচনায় বর্ণিত পিপিপি প্রকল্পে বিনিয়োগকারী হিসেবে সিসিসিসিএল এবং সিআরবিসিকে নিয়োগের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh