ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২১, ০৮:৫৯ এএম | আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২১, ০৯:০৮ এএম
প্রতীকী ছবি
শিশুদের উপরও ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা। যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিটি এমনই দাবি করেছে।
গতকাল শুক্রবার (২২ অক্টোবর) টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কাছে দাখিল করা নথিতে ফাইজার এই দাবি করেছে।
৫-১১ বছর বয়সি শিশুদের শরীরে প্রতিষেধক প্রয়োগে এই ফলাফল পাওয়া গেছে। শিশুদের শরীরে এই টিকা প্রয়োগের অনুমোদন চেয়ে ইতিমধ্যেই এফডিএ’র কাছে আবেদন করা হয়েছে। এই বিষয়ে আগামী মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত নিতে পারে এফডিএ।
ওষুধ কোম্পানিটি বলছে, ট্রায়ালে থাকা শিশুদের মধ্যে যাদের প্লাসিবো দেয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে ১৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়। অন্যদিকে টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়। ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্লাসিবো গ্রহণকারীর দ্বিগুণ সংখ্যক শিশুকে টিকা দেয়া হয়। তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি শিশুর ক্ষেত্রে এ টিকা কার্যকারিতা দেখিয়েছে।
মোট দুই হাজার ২৫০ জন শিশুর উপর ফাইজারের প্রতিষেধক প্রয়োগ করে এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে। তিন সপ্তাহ পর তাদের দ্বিতীয় টিকা দেয়া হয়েছে। তার সাতদিন পর দেখা গেছে, ফাইজারের প্রতিষেধক তাদের শরীরে ৯০.৭ শতাংশ কার্যকরী। কোভিডের উপসর্গ রোধে পর্যাপ্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম ওই টিকা।
প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরে সাধারণত ৩০ মাইক্রোগ্রাম টিকা প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। শিশুদের শরীরে মাত্র ১০ মাইক্রোগ্রাম টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদের ১০ মাইক্রোগ্রামের দুই ডোজ টিকা দেয়া হয়, যেখানে ১২ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের এক তৃতীয়াংশ ডোজ দেয়া হয়েছিল।
নথি অনুযায়ী, পরে যুক্ত হওয়া ওইসব শিশুদের বিরূপ প্রতিক্রিয়া পর্যালেচনা করে টিকার নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক কিছু মেলেনি। এই বয়স শ্রেণির ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিভিন্ন দিকের সঙ্গে সাধারণত ১৬ থেকে ২৫ বছর বয়সীরা তুলনাযোগ্য।
ফাইজারের বুস্টার ডোজ ৯৫.৬ শতাংশ কার্যকর
ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ লক্ষণগত সংক্রমণের বিরুদ্ধে ৯৫.৬ শতাংশ কার্যকর। গত বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) এ টিকা প্রস্তুতকারকদের প্রকাশিত ট্রায়াল উপাত্ত থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি জানায়, ১৬ বছর ও এর বেশি বয়সের ১০ হাজার অংশগ্রহণকারীর ওপর চালানো তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ৯৫.৬ শতাংশ কার্যকর হতে দেখা যায়। প্রাণঘাতী ডেল্টা স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়ার সময় এ ট্রায়াল চালানো হয়।
এ গবেষণা প্রতিবেদনে বুস্টার ট্রায়ালের প্রাথমিক ফলাফল উপস্থাপন করার মধ্য দিয়ে ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজের একটি ‘অনুকূল নিরাপত্তা ধারণা চিত্র’ পাওয়া গেল।
ফাইজারের সিইও আলবার্ট বৌর্লা বলেন, এ ফলাফল বুস্টার সুবিধার আরো প্রমাণ ও এক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষের ভাল সুরক্ষা ব্যবস্থা ধরে রাখা।
ওই বিবৃতিতে কোম্পানি আরও জানায়, এ প্রাথমিক ফলাফল যতদ্রুত সম্ভব নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সাথে শেয়ার করা হবে।
ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন গ্রহণকরেছেন এমন মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বুস্টার ডোজ গ্রহণের অনুমোদন দিয়েছে। -রয়টার্স ও এএফপি