ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। এমনকি ধূমপান মৃত্যুর কারণও হতে পারে। এ কথা সবাই জানেন। ধূমপানের খারাপ দিক সম্পর্কে জানার পরও অনেকে অভ্যাসের দাসে পরিণত হন। একবার যারা ধূমপানে আসক্ত হয়েছেন, তারা অনেকেই এই বদঅভ্যাস ত্যাগ করতে চাইলেও পারেন না। আজ বা কাল করে ধূমপান ছাড়া হয় না। আপনিও যদি শত চেষ্টা করেও ধূমপান ছাড়তে না পারেন তাহলে এবার ভরসা রাখুন ঘরোয়া উপাদানে। কয়েকটি ঘরোয়া উপাদান আছে যে গুলো ধূমপানের প্রতি আপনার আগ্রহ কমিয়ে দিতে পারে।
চলুন তবে জেনে নেয়া যাক উপায়-
পুদিনা পাতা
এটি ধূমপান ছাড়াতে বেশ কার্যকর। এজন্য কাঁচা পুদিনা পাতা ভালো করে ধুয়ে নিন। ধূমপানের ইচ্ছা হলেই পুদিনা পাতাগুলো চিবিয়ে নিন। নিকোটিনের প্রতি আগ্রহ কিছুটা কমবে।
আদা
আদা খাবারে স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি আরও অনেক উপকার করে। ধূমপানের আসক্তি কমাতে আদার জুড়ি নেই। অল্প বিট লবণ মাখিয়ে আদা কুচি মুখে দিন। ধূমপানের প্রতি আগ্রহ কমবে।
আমলকি
প্রতিদিন কাঁচা বা সিদ্ধ আমলকি খান। ধূমপানের ফলে শরীরে জমা দূষিত পদার্থ বা টক্সিন দ্রুত সাফ হবে। ধূমপানের প্রতি আগ্রহ দ্রুত কমবে। সাতদিন যেতে না যেতেই ধূমপানের ইচ্ছা কমে যাবে।
আঙুরের রস
এই ফলটিতে উপস্থিত অ্যাসিডিক এলিমেন্ট শরীর থেকে নিকোটিনকে বের করে দেয়। ফলে ধূমপানের ইচ্ছা কমতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
পানি
এক্ষেত্রে পানি ব্যাপক উপকারে লাগে। তাই তো সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছা জাগলেই পানি পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এমনটা করলে ধূমপানের ইচ্ছা যেমন কমে, তেমনি শরীরে উপস্থিত নিকোটিন বাইরে বেরিয়ে যাবে। ফলে নানাবিধ মরণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। কমে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও।
গোলমরিচ
এক গ্লাস পানিতে অল্প করে গোলমরিচ মিশিয়ে সেই পানি পান করলে ধূমপানের ইচ্ছা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ফুসফুসও চাঙ্গা হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, পানিতে গুলে যদি গোলমরিচ খেতে ইচ্ছা না করে, তাহলে খাবারে দিয়েও খেতে পারেন। একই উপকার মিলবে।
ত্রিফলা
ত্রিফলার স্বাস্থ্যগুণ অনেক। ধূমপান ছাড়তেও দুর্দান্ত কার্যকরী এই উপাদান। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ত্রিফলা ভেজানো পানি খান। দেখবেন ধূমপানের ইচ্ছা কমবে।
মধু
ধূমপান ছাড়ার পর যে যে লক্ষণগুলো মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে, তা কমাতে মধুর জুড়ি মেলা ভার। আসলে মধুতে উপস্থিত নানাবিধ ভিটামিন, এনজাইম এবং প্রোটিন এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।