পীরগঞ্জে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার সৈকত ছাত্রলীগ নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২১, ০৯:০৬ পিএম | আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২১, ০৯:১১ পিএম

মো. সৈকত মণ্ডল

মো. সৈকত মণ্ডল

রংপুরের পীরগঞ্জের বড় করিমপুর মাঝিপাড়া হিন্দুপল্লিতে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার মো. সৈকত মণ্ডল কারমাইকেল কলেজের দর্শন বিভাগ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। মাঝিপাড়ার হিন্দুপল্লিতে হামলার পরপরই তাকে কলেজ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ বলছে, সৈকত ছাত্রলীগে একজন অনুপ্রবেশকারী। 

ওই সহিংসতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সৈকত মণ্ডল ও তার সহযোগী রবিউল ইসলামকে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন তাদের গ্রেফতারের তথ্য জানিয়েছেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সৈকত মণ্ডলের বাড়ি উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের চেরাগপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের রাশেদুলের ছেলে। পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও শাহ্ আব্দুর রউফ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। কলেজে পড়ার সময় তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়ান। পরে রংপুর কারমাইকেল কলেজের দর্শন বিভাগ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পান। সৈকতের বিরুদ্ধে কুমিল্লার ঘটনার পর মাঝিপাড়ায় সহিংসতায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। 

এদিকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ বলছে, সৈকত ভুয়া প্রত্যয়নপত্র দিয়ে কলেজের দর্শন বিভাগ কমিটির সহ-সভাপতির পদ বাগিয়ে নিয়েছে। তিনি কারমাইকেল কলেজের ছাত্র নন। রংপুর জেলা ও কারমাইকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি এবং পীরগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সৈকতকে অনুপ্রবেশকারী দাবি করে মাঝিপাড়ার ঘটনায় তার দৃষ্টান্তমৃলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

সৈকতকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারের চিঠি।

এ বিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এজেডএম সেকেন্দার আলী বলেন, ‘জীবন্তবৃত্তান্ত বা পরিচয় না জেনে টাকার লোভে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করলে এমন ঘটনা ঘটবেই। সৈকত অন্য কলেজের হয়ে কি করে কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়?’ ভালোভাবে পরিচয় না জেনে পদ দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে কারমাইকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সম্পাদকের বহিষ্কারের দাবি জানান তিনি। 

এদিকে কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুজ্জামান সিজার বলেন, ‘অপরাধী যে দলেরই হোক অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হবে। আইন সবার জন্যই সমান।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা পরে জানতে পেরেছি সৈকত ছাত্রলীগে একজন অনুপ্রবেশকারী। এও জানতে পারছি, তিনি কারমাইকেল কলেজের ছাত্রও না। অথচ কমিটি গঠনের সময় কারমাইকেল কলেজের প্রত্যয়ন জমা ছিল। ১৭ তারিখ রাতে আমরা তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করেছি।’ 

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদি হাসান রনি বলেন, ‘মাঝিপাড়ার ঘটনায় যারাই জড়িত হোক সকলকে বিচারের আওতায় আনতে শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। ’ 

উল্লেখ্য, ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে গত রবিবার রাত ১০টার দিকে পীরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের মাঝিপাড়া, বটতলা ও হাতীবান্ধা জেলেপল্লীর বাড়ি-ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh