সুবহানাল্লাহ’র তাৎপর্য ও ফজিলত

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২১, ১২:৪০ পিএম

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

সুবহানাল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা পুতঃপবিত্র। যা কুরআনের আয়াত দ্বারা সাব্যস্ত। 

আল্লাহ তাআলার পবিত্রতা বর্ণনা করেছেন ফেরেশতারা। যার বাস্তব শিক্ষা কুরআনে কারিমে তুলে ধরা হয়েছে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস দ্বারা ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। সুতরাং অনেক ছোট বাক্য ‘সুবহানাল্লাহ’র জিকির অত্যন্ত জরুরি। 

সুরা বাক্বারা ৩২ নং আয়াতে আল্লাহর উদ্দেশ্যে ফেরেশতাদের বক্তব্যে তা উঠে এসেছে। সুবহানাল্লাহ’র তাৎপর্য ও ফজিলত এখানে তুলে ধরা হলো-

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‌এ বাক্যটির অর্থ হলো- আল্লাহ পবিত্র অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা যাবতীয় মন্দ ও  সব প্রকার দোষ-ত্রুটি থেকে সম্পূর্ণ পবিত্র।

একবার হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর নিকট প্রশ্ন করেছিলেন, আমরা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’র অর্থ জানি। কিন্তু সুবহানাল্লাহ’র তাৎপর্য কি? তখন হজরত আলী  রাদিয়াল্লাহু আনহু জবাব দিয়েছিলেন, ‘আল্লাহ তাআলা এ বাক্যটি নিজের জন্য পছন্দ করেছেন। তিনি এ বাক্য দ্বারা সন্তুষ্ট হন। এ বাক্যটির জিকির আল্লাহ তাআলার মহান দরবারে অত্যন্ত পছন্দনীয়।

হজরত মাইমুন ইবনে মেহরান রহমাতুল্লাহি আলাইহি সুবহানাল্লাহর প্রসঙ্গে বলেছেন, এতে আল্লাহ তাআলার তাযিম রয়েছে এবং তার পবিত্রতার বর্ণনা রয়েছে।

হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমরা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট ছিলাম। তিনি বললেন, তোমাদের কোনো ব্যক্তি প্রত্যেক দিন ১০০০ নেকি অর্জন করতে সক্ষম কি? তন্মধ্যে একজন বললেন, আমাদের মধ্যে কোনো ব্যক্তি কিভাবে ১০০০ হাজার নেকি অর্জন করবে? তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ১০০ বার সুবহানাল্লাহ বললে, তার জন্য ১০০০ হাজার নেকি লেখা হবে। অথবা তার ১০০০ পাপ মোচন করা হবে। (মুসলিম, মিশকাত)

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh