মাদ্রাসার ৬ ছাত্রের চুল কেটে দেয়া সেই শিক্ষকের জামিন

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় ছয় ছাত্রের চুল কেটে দেয়া মাদ্রাসা শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির মঞ্জু জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ সোমবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

তার আইনজীবী কামাল উদ্দিন তার জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার বাদী শাহেদা বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাদীর আপত্তি না থাকায় আদালত ওই শিক্ষকের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এসময় আসামিকে আদালতে উপস্থিত করা হয়নি।

আদালত সূত্র জানায়, গত ১০ অক্টোবর শিক্ষক মঞ্জুকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়পুর আদালতে উপস্থিত করে জামিন আবেদন করা হয়। ওইদিন বিচারক তারেক আজিজ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

এর ১৪ দিন পর আজ ফের জামিন আবেদন করায় ও বাদীর আপত্তি না থাকায় আদালত তাকে জামিন দেন।

মঞ্জু রায়পুর উপজেলার হামছাদী কাজিরদিঘীরপাড় আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ও বামনী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির ছয় ছাত্রকে দাঁড় করিয়ে শ্রেণিকক্ষের সামনের বারান্দা আসতে বলেন। এসময় তিনি উত্তেজিত হয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে একটি কাঁচি এনে একে একে সবার মাথার টুপি সরিয়ে সামনের অংশের চুল এলোমেলোভাবে কেটে দেন। পরে তারা লজ্জায় ক্লাস না করেই বেরিয়ে যায়।

এ ঘটনার এক মিনিট ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ৮ অক্টোবর সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে দেখা যায়। ওই রাতেই শিক্ষক মঞ্জুকে উপজেলার বামনী ইউনিয়নের কাজিরদিঘীর পাড় এলাকা থেকে আটক করা হয়। মধ্যরাতেই মাদ্রাসাছাত্র শাহাদাত হোসেনের মা শাহেদা বেগম বাদী হয়ে শিশু নির্যাতন দমন আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। 

পরে মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ৯ অক্টোবর বিকেলে তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।