নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২১, ০৬:৩২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
‘অপহরণ’ নাটকের আট বছর পর আইমুদ্দিন (৫৪) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ। পরে সোমবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে, রবিবার (২৪ অক্টোবর) দিনগত রাতে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানার নয়াগাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
আইমুদ্দিন ঘোড়াঘাট উপজেলার রূপসীপাড়া (ভেকসি) গ্রামের মৃত কিসমতুল্লাহর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে প্রতারণার মাধ্যমে জমি বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থেকে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে চলে যান আইমুদ্দিন। এরপর তার ছেলে অপহরণ মামলা দায়ের করেন জমি ক্রেতার নামে। কিন্তু প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রতিপক্ষও মামলা করেন তার নামে। এ মামলায় আইমুদ্দিনের দুই বছর কারাদণ্ড হয়। কিন্তু তিনি নিখোঁজ থাকায় কারাবরণ করতে হয়নি তাকে।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২০১৩ সালে আইমুদ্দিন তার প্রতিবেশী মৃত তাছের আলী প্রধানের ছেলে মোজাহার আলীর কাছে ৪২ শতক জমি বিক্রয়ের জন্য চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী মোজাহার আলী ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা আইমুদ্দিনকে দেন। কিন্তু জমি রেজিষ্ট্রি করতে গেলে মোজাহার আলী দেখতে পান কাগজে ৪২ শতকের পরিবর্তে ৩৬ শতক লেখা।
এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। পরে জমির মালিক আইমুদ্দিন কৌশলে তার জমি ছেলে-মেয়ের নামে লিখে দিয়ে আত্মগোপনে যান। আজিজ মোজাহার আলীকে ফাঁসাতে পরে তার ছেলে আব্দুল আদালতে গিয়ে মোজাহার আলী ও তার দলের লোকজনদের নামে একটি অপহরণ মামলা করেন। এ মামলায় জামিনে এসে মোজাহার আলী জমি ক্রয়ে জালিয়াতির অভিযোগ এনে আইমুদ্দিনের নামে একটি মামলা করেন। বিচার চলাকালীন অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আসামি আইমুদ্দিনকে দুই বছরের সাজা দেন আদালত। কিন্তু আইমুদ্দিন নিখোঁজ থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানো যায়নি।
তিনি জানান, গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আইমুদ্দিন স্বীকার করেছেন যে—২০১৩ সালে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনের পর ঘোড়াঘাট থেকে পালিয়ে তিনি প্রথমে বগুড়া এবং পরে পাবনা জেলার সাঁথিয়া থানার কাশিনাথপুর এলাকায় দীর্ঘদিন থাকাকালীন চর অঞ্চলের কিছু লোকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তিনি স্থায়ীভাবে মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার বাকুটিয়া চরে বসবাস শুরু করেন। সেখান স্থানীয় এক নারীকে বিয়ে করে তিনি বসবাস করে আসছিলেন।