‘সিনহাকে ডাকাত সাজিয়ে হত্যা করতে মাইকে ঘোষণা’

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২১, ১০:২৮ পিএম

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ফাইল ছবি

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ফাইল ছবি

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে ডাকাত সাজিয়ে হত্যা করতে ওসি প্রদীপের অনুসারীরা মাইকেও ঘোষণা দেয় বলে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন সাক্ষী শাহাবুদ্দিন।

মামলার ষষ্ঠ দফায় প্রথম দিনে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈলের আদালতে তিনি এ সাক্ষ্য দেন। সোমবার (২৫ অক্টোবর) শাহাবুদ্দিনসহ ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

আদালতকে শাহাবুদ্দিন বলেন, ওসি প্রদীপের অনুসারী হিসেবে পরিচিত নুরুল আমিন ও আয়াজ উদ্দিন সেদিন রাতে পাহাড়ে ডাকাত পড়েছে বলে মাইকে ঘোষণা দেয়। পরে সে মাইক আমাকে রাখতে দেয় তারা।

সোমবার (২৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১০টা ২৫ মিনিটে ষষ্ঠ দফায় প্রথম দিনে ৩৬তম সাক্ষী হিসেবে সিনহার মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রদানকারী কক্সবাজার সদর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামের জবানবন্দি গ্রহণের মধ্য দিয়ে আদালতের বিচারকাজ শুরু হয়।

এর আগে, সকাল সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামিকে প্রিজন ভ্যানে করে পুলিশি পাহারায় আদালতে আনা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, আদালতে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী দিয়েছেন সুরতাহাল প্রতিবেদনকারী কর্মকর্তা ও স্থানীয়রা। আজ আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৪৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হলো।

এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া ও কনস্টেবল সাগর দেব নাথ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব ও মো. আব্দুল্লাহ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পুলিশের করা মামলার সাক্ষী নুরুল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন, আয়াজ উদ্দিন।

গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। সে সময় সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh