পরকীয়ার জেরে নববধূকে হত্যা, স্বামীর যাবজ্জীবন

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২১, ১১:২৯ পিএম

নোয়াখালী দায়রা জজ আদালত। ফাইল ছবি

নোয়াখালী দায়রা জজ আদালত। ফাইল ছবি

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার দয়ারামদি গ্রামে তিন বছর আগে পরকীয়ার জেরে এক নববধূকে হত্যার ঘটনায় স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে আদালত আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন।

সোমবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালী দায়রা জজ সালেহ আহমেদ এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার পর দণ্ডিত আসামি মনির হোসেন বাবুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দয়ারামদি গ্রামের আলী আহম্মদ নতুন বাড়ির মৃত আলী আহম্মদের ছেলে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন নোয়াখালী দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) গুলজার আহমেদ জুয়েল। আসামিপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন জুয়েল।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১ মে কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের দয়ারামদি গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে নববধূ নাজমা আক্তার ওরফে নাজুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ৩০ এপ্রিল দিনগত রাতে আসামি তার স্ত্রীকে ঠান্ডা মাথায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। রাতে বাবু এলাকার স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে তার স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করে। এরপর সেখান থেকে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে বাবুকে আসমি করে কবিরহাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

এজহারে বলা হয়, তার বোনকে যৌতুকের দাবিতে হত্যা করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে আসামি বাবুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কবিরহাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আলম পাটোয়ারী।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, যৌতুকের জন্য দাবিতে নয়, একজন নারীর সাথে সম্পর্কের কারণে আসামি বাবু তার স্ত্রীকে হত্যা করে। বিয়ের আগে থেকে বাবুর সাথে একই এলাকার মরিয়ম আক্তার পপি নামের এক নারীর প্রেম ছিল। এ পরকীয়া প্রেমের জের ধরেই নববধূকে হত্যা করা হয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh