আওয়ামী লীগ বিকারগ্রস্ত দল: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২১, ০৩:৩০ পিএম

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় যেতে অভ্যস্ত। কারণ তারা লাশ দেখতে অভ্যস্ত। ২৮ অক্টোবর তারা লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় আসার পথ প্রশস্ত করেছে। আওয়ামী লীগের সোনার ছেলেরা মানুষ মেরে লাশের ওপর নৃত্য করেছিল, যা জঙ্গিবাদকেও হার মানায়।

শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর গণতন্ত্রের কলঙ্ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ২৮ অক্টোবর ইতিহাসের নির্মম রক্তাক্ত ও ভয়ংকর ঘটনা। যা ক্রমান্বয়ে মিলিয়ে যাচ্ছে। যারা গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করেন, কথা বলেন সরকার তাদের কথায় কথায় জঙ্গিসহ নানা উপাধি দেয়। জঙ্গির সংজ্ঞা কী? আপনার সোনার ছেলেরা মানুষ পিটিয়ে হত্যা করে লাশের ওপর নৃত্য করেছে। তো সেটা তো জঙ্গির চেয়ে বড় ঘটনা।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বিকারগ্রস্ত দল। ২৮ অক্টোবরের ওই নির্মম ও মর্মান্তিক ঘটনার সঙ্গে দেশি বিদেশি চক্রান্তে সংঘটিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মাস্টার প্লানের অংশ হিসেবেই ২৮ অক্টোবর ইতিহাসের নির্মম রক্তাক্ত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ শুধু টুলস হিসেবে কাজ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ওয়ান ইলেভেনের ঘটনা ঘটেছে।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরপরই নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে বলে উল্লেখ করেন রিজভী। তিনি বলেন, আজ ইউপি নির্বাচনে কোনো ভোট হচ্ছে না। এই হচ্ছে তাদের দর্শন। অথচ শেখ হাসিনা কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলেন। তিনি যে গণতন্ত্রের কথা বলেন তার সঙ্গে কিন্তু মনিষী ও লেখকরা গণতন্ত্রের যে সংজ্ঞা দিয়েছেন সেটার কোনো মিল নেই। শেখ হাসিনার গণতন্ত্র হচ্ছে টাকা লুটে বিদেশে পাচার করা। মালয়েশিয়া, কানাডা বেগম পল্লী বানানোর গণতন্ত্র হচ্ছে হাসিনার গণতন্ত্র।

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা করোনার শুরু থেকেই উদাসীন ছিল। মানুষ বাঁচাতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি। আবার এখন তারা বলছে শীতকালে করোনা বাড়বে। তবে কী সরকার মানুষকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিচ্ছে! তারা তো মৃত্যুর অপেক্ষায় আছে।

নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমূল্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, এই সরকার বাজারের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করেছে। এখন ডিজেলের দাম বৃদ্ধি করতে চাইছে। এটা বাড়লে সবকিছুতেই প্রভাব পড়বে। কারণ এর সঙ্গে আমাদের কৃষি জড়িত।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান, সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান শামীম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh